নদীকীর্তন
বৃষ্টি-চাদরে ঢেকে আছে দিগন্তের মনভূমি
মনে হয় ঘুমভারে জেগে আছি, জেগে থাকি আহত শয্যা
কাশবন ছুঁয়ে ভেঙ্গে যায় মন-নদী
কূলে যার ললিত কীর্তন
অন্দরে প্রবল শ্রাবণ;
তবু- বৃষ্টি মুগ্ধ সুর উড়ে যায় চোখের সৈকত ছেড়ে
অবনত জলবিকেল পায়ে পায়ে ফিরে পায় মসৃণ সন্ধ্যা
জলজ আঁধারে কেন তবে দৃশ্যমান- কথার জবা!
সারাদিন-সারারাত জল-ভৈরব বেজে চলে স্বপ্ন-সেতারে
আর রাত্রিকামী চাওয়াগুলো হেলে পড়ে গভীর আলিঙ্গনে
আমাদের রিমঝিম সোনালী ভুবন
ক্রমশ নিদ্রাহীন নদীকীর্তনে!
সংসার
নৈঃশব্দে পুড়ে যায় সঞ্চিত আবেগ
মাটিগন্ধি প্রাণ; চোখের বাগানে কালোস্রোত
রৌদ্রদীপ্ত আকাশ দ্যাখে-
আমরা বৃক্ষপ্রজাতী, লাজলজ্জাহীন রঙের তীর্থে
বয়ে চলি জীবনের স্বয়ম্ভরা!
প্রেম আছে, ভালবাসার যান্ত্রিক নগরী তবু
হতাশ্বাস; গিয়ে খায় বুকের মানচিত্র
মানবিক ক্রোধ অস্পষ্ট ইশারায় ঘুম ভাঙ্গা গান শোনায়
রাত জাগা পাখির ঠোঁটে তুলে আনে- অদৃশ্য ভোর
মাটিপ্রেমে মগ্ন আমরা ক্রমশ ডুবে যেতে থাকি
সংসার হ্রদে!