সহগামী সাঁকোর দূরত্ব
সে ছিল এক ক্ষমাপূর্ব পরম্পরা।
দুর থেকে ছুটে আসা প্রভেদ ভেদে
নিরীক্ষাপ্রবণ মুখরতা হেঁটে গেছে সন্ধ্যার পথে
সহজ জীবন
কথাপূর্ণ রাত হেলে গেছে।
আলাে- ছায়ার সহাবস্থান ছুঁয়ে সন্তাপ শহরে।
শুভবার্তা উড়ে গেছে-
বায়বীয় ফসিল ডানায় জলমাছিদের নীল চোখ
কুয়াশা পেখমে শূন্যে খুঁজেছে নীল মায়া;
হাতঘড়িতে চলমান দৃশ্য সাজিয়ে
দূরতিক্রমী আকাশ পথে নেচে গেছে ঢের
বেলাজ জ্যোৎস্না,
অসাম্য দর্শন
বিপরীত পরম্মরা বুঝে ফিরে গেছে।
প্রতিবেশি সখ্যতায় গড়া পরিহাসপূর্ণ বাস্তবে!
কোন এক চেতনাপর্বের আলােকিত জিজ্ঞাসা
দুঃখপর্বে এসে শীত- দগ্ধ ঝরা পাতা ধুলাে ছুঁয়ে হাসে
কিংবা, সহগামী সাঁকোর দূরত্ব বুঝে পার হয় রুগ্ন নদী।
বৈপরীত্য
মজে মাটির মায়ায়- ভজনাকাল হয়েছে বিগত
মেঘে মেঘে উড়ে গেছে বৃষ্টি প্রান্তর
শস্যের সন্ধানে তবু ঘাের লাগা স্বপ্ন
মাটির প্রাণ মিশে থাকে আগাছা বিনাশে।
কী যে গান ওঠে পালতােলা জোয়ারে
ভাসে মুগ্ধ সুর, বেসুরাে বাতাসের ঘরে।
পড়শির বাড়স্ত মেয়েগুলাে দেখি
ফ্রক ছেড়ে পরে নেয় লাজুক কামিজ
বয়সেরা অগােছালাে ভীষণ
চোখের ফ্রেমে বাঁধে বিবেকের শেমিজ!
চন্দ্রাক্রান্ত রাত
বরং ফিরে আসি চন্দ্রাক্রান্ত রাতের পথে
জীবনের জটিলতা থেকে এ এক সরল প্রত্যয়
ঘােরলাগা মায়াবী ফানুস ওড়াই
চাঁদের ঘরে এঁকে রাখি- বৃত্তের কথকতা।
জ্যোৎস্না শাসিত রাত, বাতাসের হাত ছুঁয়ে
নৈঃশব্দ সঙ্গমে পুনঃ পুনঃ জেগে উঠি-
আঁধার তাড়াবাে বলে
এক সময় মিশে যাই সর্বহারার দলে!
বিনির্মাণ হাত নেড়ে স্বাগত ভঙ্গিমায়
শব্দের তরঙ্গে উড়িয়ে দেয়
অদৃশ্য বােধের ধারাপাত।
চন্দ্রাক্রান্ত রাত ওড়ে- রাতের গহীনে
অধরা কবিতা হাসে- বােধের সৃজনে।