শামীম কবীরের কবিতা: বিচ্ছিন্নতাবােধই যার প্রধান শক্তি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

বীরেন মুখার্জী

স্বল্লায়ু এক কবি প্রতিভার নাম শামীম কবীর। প্রতিভার পূর্ণ স্কুরণের আগেই তিনি ছিটকে গেছেন জীবন থেকে। শামীম কবীর স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করেছেন। স্বেচ্ছামৃত্যুর “স্বাদ কী, কী তার বর্ণ বা গন্ধ-তা জীবিত মানুষের পক্ষে জানা আদৌ সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি যে বােধ কবিতার সরােবরে রেখে গেছেন, তার মাঝে ডুব দিয়ে তার ‘ব্যক্তিগত উপলব্ধির’ সারাতসার কিছুটা হলেও আত্মস্থ করা যেতে পারে। সত্য যে, শামীমের কবিতার গভীরে যে দাহময় অগ্নি ক্রমেই বাড়বাগ্নি, লেলিহান হয়ে দেখা দিয়েছিল, তা গাণিতিক নিয়মের বাইরে-ভিন্নকিছু এবং ভিন্নচিন্তার। সমাজ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে নিজস্ব অবস্থান ও জীবন নিরীক্ষণের গভীর মনন তিনি অর্জন করেছেন বিচ্ছিন্নতার ভেতর থেকে। ফলে পারিপার্শ্বিক জটিল গ্রন্থি উন্মােচনের ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা তার কবিতায় তীব্রভাবে ফুটে ওঠে। কবিমাত্রই সংবেদনশীল, কিন্তু শামীমের কবিতা পাঠে তাকে ‘অতি সংবেদনশীল অভিধায় চিহ্নিত করতে হয়। অতি সংবেদনশীলতার কারণে স-ব ছেড়ে-ছুঁড়ে কবিতায় সুস্থির হতে চেয়েও পারেননি তিনি। অন্যায়, অসত্য, কলুষ ইত্যাদি সামাজিক নেতিবাচক প্রপঞ্চের সঙ্গে কোনােরূপ আপােষ-রফা করেননি। সঙ্গত কারণে তাকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে হয়েছে বস্তুবাদী সমাজ-সংসার থেকে। তিনি বিশ্বায়ন, পুঁজিবাদ কিংবা বাজারী সাহিত্যের ছায়াতলে দাঁড়াতে কুণ্ঠিত হয়েছেন। বেছে নিয়েছেন সেই জীবন যেখানে যন্ত্রণার ভাষায় ফুল হয়ে

ফোটে জীবনের বােধগুলাে। এভাবেই ক্ষত-বিক্ষত-আহত শামীম মানসিকভাবে প্রতিবেশের সব কিছু থেকে নিজেকে গােপন করতে চেয়েছেন, মৃত্যু চেয়েছেন, যাবতীয় কোালাহল থেকে মুক্তি চেয়েছেন। এই বিচ্ছিন্নতাবােধ থেকে উৎসারিত হয়েছে তার কাব্যজ্যোতি। নিচের কবিতাটি লক্ষ্য করি-

খেলতে থেলতে ভেঙে যায় ছাদ

এবড়াে থেবড়াে কংক্রীটের কোণা ধরে কোনােক্রমে কোলে

এ’ আর ও’

তারা শুধু মৃত্যু আশা করে      ক’রে থাকে

এখন কতটা নিচে মেঝে তার অঙ্ক কষে আতঙ্কিত হয়

সেই ছাদে চাঁদ ঝরে একাগ্র পলক আর

আঁচহীন আদুরে আলাের ঝাণে

পিছলে যাচ্ছে কংক্রীটের ঢাল’

(এ’ আর ও’কে নিয়ে খণ্ড খণ্ড)

ইন্দ্রিয়ঘন রূপকে সামনে টেনে আনার কৌশলের মধ্য দিয়ে কবির বিবেচনাবােধের পরিচয় পাওয়া যায়। ‘বােধ’ হলাে এক ধরণের শূন্যতার উপলন্ধি। ফরাসি সাহিত্যে যেমন বােদলেয়ার এ ব্যাপারটি কবিতায় এনেছেন তেমনি জীবনানন্দ দাশের কবিতায়ও এমনটি দেখা যায়। বস্তুত তিরিশ পরবর্তী কবিরা বিচ্ছিন্নতাবােধের মধ্যদিয়েই চেতনার জাগরণ ঘটাতে চেয়েছেন; অস্পষ্টতাই যার নিয়তি। শিল্প ও সৌন্দর্যের একটি মূল উদ্দেশ্য যেহেতু বিষণ্নতা, সুতরাং অস্পষ্টতাই এর মূলধর্ম১- এ ভাবনার মধ্যদিয়ে শামীমের কবিতা এগিয়ে যায়। একটি কবিতা লক্ষ্য করি-

‘আমি শুধু চিরকাল ঘরের কথাই কবাে

ঘর আমি দেখি নাই বুঝি নাই

খালি জানি বৈশ্যদের খলহাস্য ঘরময় থাকে

না জেনেই ঘরের প্রলুব্ধ-কথা বলে যাবাে

(স্রোত ও শামুকাসন)

শামীম ঘর-প্রত্যাশী। কিন্তু ঘর তাকে আটতে রাখতে পারেনি। বার বার তিনি স্থির বিন্দু থেকে সরে গেছেন অলক্ষ্যের দিকে। এ এক ‘বিচিত্র রশ্মির ধ্যান। সময়ের বিপন্নতাবােধের মধ্য দিয়ে যার উল্লম্ফন ঘটে বহিরাবরণের দিকে। সঙ্গত কারণেই বােহেমিয়ান ভাবনা-তাড়িত হয় কবিসত্তা। তার কবিতা পাঠে বার বার বিচ্ছিন্নতাবােধই সামনে চলে আসে। বােঝা যায় পাশ্চাত্যের সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ-প্রীতি।

কবি পরম্পরায় মানসিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। বিশ্বসাহিত্য এমনকি বাংলাসাহিত্যের দিকে গভীরভাবে দৃষ্টি রাখলে এটি বেশ বােঝা যায়। শার্ল বােদলেয়ারের সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের মানসিক ঐক্য ও সহমর্মিতার সন্ধান মেলে, তেমনি শামীমের সঙ্গেও বােদলেয়ারের ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেখি। জীবনানন্দ দাশ এবং বােদলেয়ার, উভয় কবিকেই বলা হয় অন্ধকারের কবি। অন্ধকারের মধ্যে উভয়ই খুঁজেছেন একটা নতুন চৈতন্য-সত্তার খোঁজ।…

বােদলেয়ারের মতনই কবি জীবনানন্দও অন্ধকারের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়েও খুঁজেছেন মুক্তি, একটা আলাের ইশারা সন্ধান।২ বাদলেয়ার, জীবনানন্দ ও শামীম অন্ধকারের মধ্যেই থাকতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে খুঁজেছেন মৃত্যু, ভয় ও বেদনা। তাহলে প্রশ্ন জাগতেই পারে শামীমের কবি-সত্তার সত্যদর্শনটি কি? অভিজ্ঞতার আগুনে পুড়িয়ে আত্মমগ্নতাকে যিনি ধ্যানী-প্রেমিকের মতাে চৈতন্যে লীন করতে পারেন, তাকে প্রকৃত কবি হিশেবে আখ্যা দেয়া যেতে পারে- এমন মত কাব্যবােদ্ধাদের। শামীম কবীরের ক্ষেত্রেও এ ভাবনাটি প্রাসঙ্গিক। কারণ তিনি তার স্বল্পায়ু জীবনে নানামাত্রিক যন্ত্রণার আগুনে পুড়ে নিজের আত্মবিশ্বাসকে হারিয়ে যেতে দেননি। উপরন্তু স্বপ্ন আর সৌন্দর্যের পালিশে আত্মবিশ্বাসকে আরাে উজ্জ্বল করে তুলতে সচেষ্ট থেকেছেন। পাশাপাশি আরেকটি সত্য হলাে তিনি প্রচল কাব্যবােধের বিপরীতে দাঁড়িয়েই নিজস্ব জগত বিস্তৃত করেছেন।

‘আপন বরণ আমি খুলে দিতে পারি

কিন্তু হায়

অনাথ মাথার দাম দিতে হবে বলে

ছিলাে রাজ্ঞী যে

এখন তার সূত্রপাত খড়গ্রমণ’

মৃত্যু কামনার মধ্যদিয়ে শামীম নিজেকে মৃত্যুপথের যাত্রী হিশেবে দেখতে পেতেন। পাশাপাশি আধুনিক মানুষের নানা অন্ধকার, নৈরাজ্য, হতাশা, ভয় ও একঘেঁয়েমি ইত্যাদি আধুনিক যাপনের সব উপাদান একীভূত করে তা অভিজ্ঞতার কষ্ঠিপাথরে ঘষে মেজে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। এভাবে ধীরে ধীরে এক অজানা কুহকের অন্তরালে তিনি নিয়ে গিয়েছেন আর কাবাবােধের জগতকে। তাকে ‘লিবিডাে আক্রান্ত মনে হতেই পারে। কারণ তিনি নিজের ‘শিশ্ন’ বিসর্জন দিতে চেয়েছেন কিংবা স্বমেহন-এ জুড়াতে চেয়েছেন নিজস্ব কাঙ্ক্ষা। কবিতার যে গলিপথ ধরে হেঁটেছেন শামীম তাকে ‘বিচ্যুতির সীমারেখা হয়তাে বলা যায়, কিন্তু যাপনের অসঙ্গতি বিবেচনায় সে পথে হাঁটা কি সত্যিই অন্যায়?

‘মাঠে ঝরছে তর্জনী ও ধারা : মাঠ নেই

বিদ্ধ বিদ্ধ দিক আর প্রচুর বাজের সমতালে

গজায় টাওয়ার এক

আমি তাতে ব’সে

তর্জনীয় ঝড় দেখি, মাঠ নেই নেই’

                                      (মাঠ)

কিংবা-

‘যে স্বপ্ন প্রত্যহ দেখি, সকাল ও প্রসারিত দিনের অন্তিমে,

যার সমুজ্জল প্রেম হৃদয়ের স্পৃহা থেকে পারি না লুকাতে।

নিঃশব্দে, শিশুর মতাে বয়সের ঘনভার বেড়া ভেঙে ভেঙে

দু’দণ্ড পাখির সাথে মগ্ন আলাপের রেশ নিয়ে, অবিরত

গােলক ধাঁধাঁয় যাকে খুঁজি নিত্য সমর্পিত অপেক্ষার শ্লেষে-

কতােদিন দীপ্ত বনপথে তাকে দেখেছি প্রখর হেঁটে যেতে।

                          (যে স্বপ্ন প্রত্যহ)

শামীম কবীরের কবিতা কখনাে ‘শূন্যমার্গে ওড়ে’ আবার কখনাে ‘মাটি ও মাচান ফুঁড়ে তেড়ে ওড়ে ভূগােলক’-এ। কবি মজনু শাহ শামীম কবীর সমগ্রের ভূমিকায় বলেছেন শামীম কবীর, একদিন যে চেয়েছিল কেবল আয়না-ই তাকে গুড়িয়ে যেতে দেখুক; কুজো খেজুর গাছের ছায়া না মাড়িয়ে ঘুরে যেতে চেয়েছিল যে- কি অমােঘ নিয়তি, তার পায়ের কাছে, প্রায় তার সমবয়সী এক খেজুর গাছ ছায়া দোলাচ্ছে, আজ’। সত্যিকার অর্থে শামীমের কবিতা সেই সত্যের মুখােমুখি নিয়ে যায় যেখানে দাঁড়িয়ে আছে এক অদ্ভুত গােলকধাঁধাঁ, মহাশূন্য। যে অভিজ্ঞানের ছায়ার শামীম নিজেকে ক্রমেই বিপন্ন করে তুলেছিল, তা মৃত্যু। বলা যায় খুব সাহসিকতার সঙ্গেই তিনি মৃত্যু নামক বােধ”-টিকে সারাক্ষণ বুকের মাঝে জাগিয়ে রাখতেন। কী এক কথার লােভে বেঁচে থাকি/মৃত্যু দূরে নয়/ইচ্ছার পালক হায়ে মৃত্যু জেগে থাকে’ বস্তুত এই বিচ্ছিন্নতাবােধই শামীমের কবিতার প্রধান শক্তি হিশেবে শনাক্তযােগ্য।

কবিতা হচ্ছে কবির প্রােজ্জ্বল অভিজ্ঞতার সরস রূপায়ণ। সেই বিরল অভিজ্ঞতাকে পাঠকসঞ্চারী করতে কবি বেছে নেন শিল্পের সর্বোতৎকৃষ্ট মাধ্যমরূপে কাব্যপ্রকরণকেই’।৩

কাব্যপ্রকরণ ও ভাষা প্রয়ােগের ক্ষেতত্রেও শামীমের পৃথক সত্তার সন্ধান মেলে। তিনি গতানুগতিক ভাষা প্রয়ােগের বাইরে বিক্ষিপ্ত অথচ ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন শব্দ প্রয়ােগের দিকে ঝুঁকেছেন। ‘আধুনিক কবিতার অন্যতম চি-প্রকর্য এই যে, তাতে এ যাবৎ অনুসৃত ও বহুপ্রচল প্রতীক, উপমা, চিত্রকল্প ইত্যাদির গতানুগতিক প্রয়ােগ থাকে না।৪ শামীম কবীরও বহুল ব্যবহৃত শব্দ-সমবায় সচেতনভাবে ত্যাগ করেছেন। ফলে তার কবিতায়, কৃষ্ণচূড়া, পুচ্ছ’, ‘ফ্লুরোসেন্ট ভালােবাসা’, ‘পঞ্চম স্তন’, ‘নকল প্রভাত’, ‘ধর্ষিতাসুবাস’, বেশ্যাচারী গৃহস্ত’, ‘দুঃখের দক্ষিণা’, ‘মােমদৃঢ় নাড়ি”, ‘পতিতা মা’, ইত্যাদি শব্দবন্ধের সন্ধান পাওয়া যায়।

শামীমের কবিতা কতখানি ‘আধুনিক’ কিংবা “উত্তরাধুনিক’ তা প্রশ্নসাপেক্ষ এবং গবেষণার বিষয়। তবে সৌরিন্দ্র মিত্রের ভাষায় বলা যায়, ‘আধুনিকতার একটা ব্যাপক অর্থ আছে, সেটা হল অধুনার সঙ্গে অর্থাৎ বর্তমানের সঙ্গে চৈতন্যের যােগ। এই অর্থে যখার্থ কবিমাত্রেই আধুনিক কবি এবং যথার্থ কবিতামাত্রেই আধুনিক কবিতা। কবিতার আঙ্গিক বৈশিষ্ট্য আধুনিকতা বা উত্তরাধুনিকতার একমাত্র লক্ষণ না হলেও সৌরিন্দ্র মিত্রের বক্তব্য অনুযায়ী শামীমের কবিতা যে আধুনিক, সে বিষয়ে সন্দেহ জাগে না। আবার শামীমের কবিতার গভীরে বস্তু থেকে শূন্য পর্যন্ত কেন্দ্রচ্যুতির যে আভাস জেগে থাকে তাতে তার উত্তরাধুনিক মানসিকতার বহিপ্রকাশ লক্ষ্যণীয় হয়ে ওঠে। বলাবাহুল্য, আজকের এই শতধাভঙ্গুর পৃথিবীতে কেন্দ্রাতিগ সুস্থিরতা মানুষের আরাধ্য নয়, বরং বিচ্ছিন্ন, অনিকেত মানসিকতাই তার ধ্যানের জগৎ-অবধারিত নিয়তি। নৈরাজ্যকর অসহায়ত্ব ও সচেতন আত্মপীড়ন তার জীবনের পরিধিকে করেছে ছিন্নমূল, গস্তব্যচ্যুত; আর এই অস্তিত্বের গাঢ় ভিত্তিভূম অন্বেষণে শামীম কবীর আত্মদহনের জ্বালা, ভাঙন, স্বপ্নবােধ ও প্রত্যয়ঘন বাসনা নিয়ে বিচরণ করেছেন কবিতার জগতে। তার ১৯ এপ্রিল কবিতাটি লক্ষ্য করি-

‘তােমাকে যে কথা বলা হবে

তার সব নিয়ে গ্যাছে চান্দ্র ড্রাগনেরা

চান্দ্র দ্রাগনেরা ভালাে ভদ্র সদাচারী

কেবল তােমার জন্য কথা আনতে গিয়ে

ড্রাগনের শ্বাসে পুড়ে শক্ত হলাে ঘাড়

                                (১৯ এপ্রিল, ক)

কিংবা,

‘মায়ের সাথে বাক্যালাপ হয় আধা-বৈষয়িক। একদিন

সে আমাকে বল্ল: তাের জীবনটা ছন্নছাড়া ভাবে কেটে

যাবে। আমি কিছুই ভাবলাম না এ বিষয়ে।”

                                         (১৯ এপ্রিল, খ)

এটা স্পষ্ট যে- তার কবিতায় যেমন আছে সম্মােহন, তেমনি রয়েছে বিচ্যুতির ঘাের। তবে যাপনের বহুবিধ আলাে-ই তার কবিতাকে আলােকিত করে রেখেছে, হােক তা মৃত্যুর দিকে হাঁটা কিংবা “উত্তরাধুনিক যৌবনাদ্য রােগ”। শামীম কবীরের কবিতার নিবিড়পাঠে তাকে হতাশাদগ্ধ কবির প্রতিকৃতি হিসেবে আবিস্কার করা যায়। যে ‘হাতমুখ ধু’য়ে একটা ঘর’ বানালেও তার সায়া হয় না। যার চোখে ভাসে ‘মন্থর গতিতে সিঁড়ি বেয়ে নেমে যেতে’ থাকা প্রৌঢ় ট্রেন চালকের দৃশ্য। যে আর একবারও পিছন ফিরে তাকায় না। শেষতক শামীম কবীরও মৃত্যুর মাঝে চূড়ান্ত মজার সন্ধান করেছেন।

‘বেঁচে থাকার কত মজা আছে।

জীবনের কত মজা।

তবে তাে মৃত্যুতে থাকে চূড়ান্ত মজা।

নেশাকর অনন্তর মজা। আর এ জীবন তাে মানুষের

কীটের নয় পতঙ্গের নয় গিনিপিগের নয়।

এ হয়তাে মৃত্যু নয়।

আরেকবার আরেক রকমের জন্ম সেইটি

যাকে মৃত্যুই বলা যায়

সে হয়তাে অন্যতর জীবন।’

                              (শেষ নােট)

আমাদের পারিপার্শ্বিক জটিলতা নাকি সামাজিক রুগ্ন বাস্তবতা তাকে মৃত্যুর দিকে ক্রমেই ঠেলে দিয়েছে সেটিও একটি জিজ্ঞাসা; যার উত্তর প্রকাশ্য না হলেও হয়তাে তা অন্তরে- অলক্ষ্যেই বহন করতে হবে।

তথ্যসূত্র:

১. কবিতার আলাপন : শীতল চৌধুরী; প্রজ্ঞাবিকাশ, কলকাতা, মার্চ-২০১১, পূ-১১

২. প্রাগুক্ত

৩. আধুনিক বাংলা কাব্যপাঠের ভূমিকা, কাবেদুল ইসলাম, জয়তী, এপ্রিল ২০১১, পৃষ্ঠা ৯২

৪. প্রাগুক্ত

৫. শামীম কবীর সমগ্র, দ্রষ্টব্য, এপ্রিল ১৯৯৭

মন্তব্য: