রহমান তৈয়েব
আজ এসেছে বৈশাখ আমার কাব্য প্রিয়া হয়ে
শুভ্রবসন হস্তে বাসন- পান্তা ইলিশ বয়ে
কোমর বাঁধা গামছাখানা- গেঞ্জি গায়ে লুঙ্গি-চটি পায়ে
হাটহট ডানে বায়ে কোলে পারতলে-
কৃষকবন্ধুর কণ্ঠ শুনি সেই অদূর গাঁয়ে
লম্বা ঘোমটা নূপুর পায়ে কলসি কাংখে বধু
কুল নারী হাতটা বাড়ী মুসকী হাসে মধু
শোনরে বধু-
আমের গুটি খুটি খুটি কাটো ঘরকে যাইয়ে
ভুই চষিয়া ফিরবো বাটে নদীর ঘাটে নাইয়ে ঐ
আজ বৈশাখের আনন্দঘাম মুছবো আঁচল দিয়ে
বরবো বরণ তোমার পায়ে কুলায় দূর্বা নিয়ে
ছোট্টবেলার কলমি তোলার সেই নদীটার বাঁকে
সইয়ের মেয়ে তোমার ছেলে দিতাম পুতুল বিয়ে ঐ
লাল পেড়ে শাড়ী পরে খোপায় গুজে ফুল
মেহেদী পাতায় হাত রাঙিয়ে- কানে পাতার ফুল
বৈশাখ এলো কাব্যপুরে ছন্দমুকুট পরে
সুখ বারতা পৌছে দিও সবার ঘরে ঘরে ঐ
আঁক স্বামী-
রঙতুলিটা নিয়া হাতে- কৃষক মাথাল মাথে
লাঙ্গল-জোয়াল দাও কাঁধেতে- দাও পতাকা হাতে
বকুলতলা বৈশাখমেলা- আঁক সুখনাচনী মেয়ে
নৃত্যতালে চলছে পথে উড়ছে আঁচল বায়ে ঐ
ও কি গাড়িয়াল ভাই- কতো রবো আমি পন্থ পানে চাইয়ারে
এত রাতে কেনে ডাক দিলি প্রাণ কোকিলারে
ঈদ শিহরণ জারি-সারি মুর্শিদী আর হলুদ বাটার গানে
আনন্দ হোলি কাম্য আজি বাংলাভাষীর প্রাণে ঐ