শামীম খান

ক্লাসরুম থেকে ভেসে আসা কন্ঠস্বরগুলো ঈশ্বরের

প্রতিদিন এক একটা প্রহর থেকে দীর্ঘতর কাল মহাকাল

আমি এইসব ঈশ্বর সান্নিধ্যে থাকি- ছুটে আসি

চিরঞ্জীব অক্ষর আর গনিতের অনিবার্য আকর্ষণে। 

তোমার বাড়ির ওপারে যে নদী

নদীর দ’ুপারে যে সবুজ

সবুজের বেষ্টনে যে বিশ্বাস

তার কাছে জেনে নিও- ঈশ্বর মানে

এইসব জোটবদ্ধ কন্ঠস্বর কিনা।

ঈশ্বর মানে এইসব নির্মোহ উচ্চারণ কিনা-

সৃষ্টির অতল গহবর থেকে উত্থিত হতে হতে 

কেবলই যা বিস্তৃত হয় জ্যোতিস্ক থেকে মহা জ্যোতিস্কময়।

খুব বেশী দূরে নয়- তোমার নির্বান্ধব প্রতিবেশীর

কাছে জেনে দেখ- প্রতি রাতের আরাধ্য প্রার্থনায়

জ্যোতির্ময় সেই পরমেশ্বরকে সে দেখেছে কতবার!

করজোড়ের শিরা উপশিরায় মহাগোলকের ফাঁকে

ঈশ্বরের একান্ত নিঃশ্বাস কতবার সে করেছে ধারণ!

এই নীল আকাশ- শস্য দানার মেঘ

ধবল রোদ- বৃষ্টির মিহিদানায় 

ফসলের হাসি উদ্বেগ- এই সবই চিরায়ত ঈশ্বর।

আমাদের পশ্চিম তোমাদের পূর্বদেশ

তাদের দশ দিগন্ত- কোত্থাও মিলবে না

এইসব ঈশ্বর-অবিনশ্বর

ক্লাস রুম থেকে ভেসে আসা কন্ঠস্বরই ঈশ্বর।

মন্তব্য: