এমরান হাসান-কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

লালন পর্ব-৭

সর্বশাস্ত্রে আছে ঠেকা, মন নিয়ে নব লেখাজোখা

কোথায় মনের ঘরদরজা, কোথা সে মনের রাজা

    বয়ে বেড়ায় পুঁথির বোঝা, আপনারে আপনি ভুলে

                    -লালন সাঁই

যে একজন অন্ধকালের পথে গ্যাছে

মৃত আঁধারের ধুপধোয়া চোখে তুলে মোহতৃষ্ণায়

পা-চিহ্নের স্কেচ চুপচাপ তুলে নিচ্ছে জলমুখ ছবি তার।

মুদ্রিত বোধের কোরাস ঘুমোয় এ্যামন নৃত্যে

পথে পথে জেগে থাকে রাত…

শেষ দৃশ্যেই ভাঙে জলরঙ রেখা

কর্নিয়া দ্রুত হাতে তুলে নেয় আরশ-কারুকার্য

এ-টুকু বৈধতা ছিলো তাড়িত পাঁজর-দেশে

কোন আলোয় পোড়ে তবু মুর্খ-আকাশ?

রোদ-পূরাণ

ভেজা পাঁজরের দাগ শুকেই বোবা পাখি নামে অন্ধকারে। শপথের ডানা খুলে প্রবীণ আকাশের রঙধনু বদলায় য্যামোন। হিরন্ময়ী আলোয় মুখরিত সভ্যতা খোঁজ করে ঘুম আর নির্বাক দরোজার চিরায়ত সাক্ষ্য। ব্যাকুল পৃথবী গোপনেই ফেলে যে প্রশ্বাস; চিহ্ন থেকে আরো ঢের দূরত্বে ছিলো ঠিকুজি তার। (যদিও একজন ঘোলাটে দৃষ্টি ছুঁড়ে দেখে গ্যাছে প্রকৃত-স্বভাবের দৃশ্যনাট্য)

অনভ্যস্ত দুপুর খুলে এই ফাঁকে পঠিত শোনো বৃক্ষ-জার্নাল। পাতার দুঃস্বপ্ন ঘুমোয় গর্ভিত শাখার মূক-অভ্যাসে। গোপনে কেউ তার খুলে দ্যায় বন্ধ জানালা।

বোধের খোদাইশিল্পে ভেসে ওঠে দূরত্বের পাখি-শয্যা!

মন্তব্য: