ঘণীভূত একাকীত্ব
রাতের আঁচল ছুঁয়ে উড়ছে হিমায়িত অন্ধকার। অসংখ্য জোনাক দিকভ্রম ছুটে বেড়ায় গহীন পথে- আমিও যেন দিকভ্রম জোনাকী এক!
ঘরে ফিরি- আমার ঘর শূন্য আর শূন্য ঘরে একাকীত্ব ঘণীভূত হলে বিনিদ্র চোখে নেমে আসে ছায়ামুখ- অনুভবে বিনম্র অনুরাগ ছুঁয়ে যায় নির্জন বেলায়। যখন ক্লান্তি মুছে স্পর্শের একান্ত ইচ্ছায় ছন্দময় কেঁপে ওঠে হাতÑ হাত খুঁজে পায় না হাতের অস্তিত্ব ! নিদ্রাহীন চোখ পুড়তে থাকে…
অবেলার কবিতা
কিছু পাখি স্মৃতি মনে রেখে ফিরে আসে বিস্মরণে শুকনো বৃক্ষের ভূগোলে। যতো সব অসমাপ্ত আয়োজন কুয়াশা সময়ের বুকে ডুবে যায় একা। অভিসারী পাখি ডাকে কোথায়? চৈত্রের খরাবুক বৃষ্টিহীন বহুদিন। দিগন্তের কোন দ্বীপদেশে এই জল-সংসার!
নিনাদে কাঁপে ঘুমের পারদ ছেঁড়া চোখ- স্মৃতির মোম-শরীর গলে যায়। ভস্ম থেকে ফিরে আসে ফেরারী রাত…
২.
ঘুমচোখে যাত্রা’র উৎসব- ইচ্ছেগুলো নিভে যেতে যেতে মিশে যায় পৃথিবীর দূরগামী রেখায় যেখানে মায়াবী সাঁতারে ভাসে নুয়ে পড়া চাঁদ- বাদামী শরীর…
আমি শীতরাত্রির পাতায় শুয়ে থাকি শিশিরে ভিজে, সোনালী রোদের স্বপ্নে বিভোর পোড়া চোখ।