সুদীর্ঘ ঝড়ের আর্তনাদ
দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষের নীচে শীতল ছায়া- সেখানেই হাসতে দেখেছি জীবনের গোপন উল্লাস। জীবনের ভেতর এরকম উল্লাস লুকিয়ে থাকে বুঝি, যার কিনা লালসায় ভুলে গেছে আদিম মানুষ-
যারা দেখেছে শুকনো পাতার সুদীর্ঘ ঝড়ের আর্তনাদ, তারা ফেরি হয়ে গেছে নিখোঁজ জনপদে। মহাকালের চোরাবালিতে আমিও দাঁড়িয়ে আছি মরুবালক। না জেনেছি উল্লাস- না জেনেছি বৃষ্টিহীন বৃক্ষের আর্তনাদ! তবু পূর্বপুরুষের পথেই ছড়াচ্ছি প্রজন্মের বীজ আর সে পথেই টেনে নিচ্ছে মহাকাল।
ঋতুচক্রের আবর্তনে
সেইসব চিহ্নগুলো মুছে গেছে
যেভাবে মুছে যায় ধুলোর দিন
ঝিনুকের পিঠ থেকে দূরগামী ঢেউ…
নিবিড় স্বপ্নদলও পরিযায়ী ডানায়
বিমর্ষ উড়ে যায় কুয়াশা অরণ্যে
নিষ্ঠুরতার চিহ্ন এঁকে প্রজাপতিও ওড়ে
ঋতুচক্রের আবর্তনে
আহা! মানুষের হৃদয়ও খরস্রোতা হয়
বিষাদের বিক্ষিপ্ত ঢেউয়ে ভাঙে পুস্পের পৃথিবী
তবু জীবনের ফসিলে সময়ের সুসময়
জেগে থাকে অমলিন।