স্পর্শের বায়োগ্রাফি: সাত
হয়ত কোনো মায়ার স্পর্শে ভেতর-বাহির স্পন্দিত হয়- তারপর শিশির ভেজা পাপড়ি খুলে দিলে ভেতরের ¯িœগ্ধতা জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠে- ক’ফোঁটা আবীর জড়ো হলে সে আভায় উষ্ণলাজ ধরা পড়ে- তখন তোমার আলোয় রেখা পেরুনোর সাধ তাড়িত হয়- কবে যে উড়াল লিখেছিলাম!- সেই পাঠে পাহাড় পেরিয়ে গিরিপথ ধরি- ধাবিত হই মোহনায়- বোঁটায় যে ফল ঝুলবে সেই কি আমার প্রার্থনা!- হয়ত বহমান নোনাজল- এই জলেই বারবার আবহ প্রক্ষালন-
এতটা পথ পেরোতে পেরোতে ক্লান্ত হয়ে এলে তোমার পাঁপড়ির উষ্ণ কণার স্পর্শে ফিরে পাই পূর্ণ যৌবন-
স্পর্শের বায়োগ্রাফি : আট
বহু প্রতীক্ষার পর হীম জলের স্পর্শে বুকে তার সোঁদা গন্ধ ভাসে- সে গন্ধে কত জাত যে আন্দোলিত হয়!- আনন্দে বৃক্ষশাখারা দুলে ওঠে- সন্ত্রস্ত পালক খসিয়ে পাখিরা ফিরে যায় যত্ননীড়ের যে আশ্রয় সেইখানে- তখন আমাদের কুঁড়েঘরের খিড়কি দিয়ে উড়ে যায় আমাদেরি ছায়া- হীম বাতাস কি জলের পরশে সে ছায়ারা নৃত্য করে, লুটোপুটি খেলে আর বয়ে আনে কিশোরী মন- সেখানে কত রঙ আর রংধনু চিত্রল হয়ে ওঠে-
সহসা হয়ত কোনো অন্ধকার শূন্যের কোল বেয়ে নেমে আসে- ভয় আর পুলকের সব্যবেলায় মনে পরে, কত চৈত্র গেছে এমনি কোনো বৈশাখের রুদ্র প্রার্থনায়- তারপর- ফসলের হাহাকার, পাখিদের মৃতপালক আর মানুষের দীর্ঘশ্বাস পরে থাকে সময়ের কড়চায়-