জাহিদ সোহাগ এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

দুপুরের কবিতা

এক

ব্লাউজের ভেতরই এর সুরভি পাওয়া যায়। নইলে স্তন দুটোয় গলা চকোলেট কেনো! পপি ক্ষেতে দীর্ঘকাল ব্লেড আর রৌদ্রের ডানায় ঘুমন্ত থেকে সবে ভাবছি আমাকে বুঝি ডেকেছিল স্বৈরিণির জঙ্ঘা। কিন্তু আমারতো রক্তে অ্যালকোহল, মানে বিষণœতার ঋতুতে ফলছে নিস্ফল বিদ্যুৎ- যেন ভীত হয়ে উঠছি বদ্বীপে গুল্মলতায়। কিন্তু এমনতো ছিল না, নারী মানে যে মাংসের ফোয়ারা সে কথা ভাবি না আজো- তাহলে একটা মাছরাঙা হাটুঅব্দি জলে দেখে শুধুই মাছের কঙকাল! 

এখন প্রতারণার মতো নারী আর পুরুষের রাত্রির বরফ জল। যাতে হয়তো উপচে উঠবে শ্যাম্পেনের মেদ। যাকে আমি সমুদ্র ভেবে মরে থাকবো চিলের নীলঘন আকাশে। আমার মতো পুরুষেরতো দুঃখ করারও কিছু নেই।   

দুই

আমার হাতেও দিতে বুনোফুল ভরা মধু; তাহলে হাওয়ার এই নীল ঘোড়া ব্যাটারি চালিত ইচ্ছের মতো আমাকেও ছেড়ে যেত না। এখন পাঁচিল ঘিরে আসছে কুমার পাড়ার ধোঁয়া- যেন আমিও কাঁচা মাটির পাত্র! আর সন্ধ্যায় উলুধ্বনি শেষে কুপির আলোয় দেখি সেই ঘোড়ায় আঙুল বুলাচ্ছে মাসিমণিরা। কোনো লুকোচুরি নেই আবার, একফোঁটা কুপির সামনে এলে তারা আমার হাতে তুলে দেয় পোড়া-কাকড়া, যার ঘ্রাণে উন্মাতাল আমাকে পেয়ে মেখে দেয় জলমাটির প্রলেপ। যেন-বা মেলায় ভুলে যাবো নাগরদোলা আর রঙিন জলের স্বাদ।   

মন্তব্য: