শস্যমানুষ
মেঘ মেয়েটিকে সবসময় তাড়নায় রেখো না। একটু স্থিরতায় ঘন হতে দাও। ও মা হয়ে মাটিতে ফিরে আসুক
সময়দহনের গহনে চাপা পড়ে, পাললিক স্তরে স্তরে খনিজ হয়েছে অনেকগুলো সুদিন। আমাদের সেইসব সঞ্চয় মেয়েটি মা হয়ে তুলে আনুক জমির স্তনে। বোঁটা বোঁটা শালদুধ চুষে মা মা ডেকে আমরা নেচে ওঠি শস্যমানুষ
ঘুম
মুজিবুল হক কবীর-এর ‘কী এক গভীরে যাওয়া’ কবিতাটি পড়ে
ধানগাছের সবুজ কচিকাঁচা চেহারা যেখানে ফুটে ওঠে, সেই বীজতলার হালিধান হবো। মা একদিন যে মাটিতে তুষের ছাই ছিটিয়ে দিয়েছেন- সেই ছাইকালো সামিয়ানার রহস্য ভেদ করে এক কিশোর মন বাড়ায় তারুণ্যে। হয়তো সে বিভূতির অপু- কাশবনের শাদা বুক চিড়ে দূর অচেনায় ছুটে যাওয়া ট্রেনের গতি হতে চায়। আসলে সে কবি। সে জন্মেছিল চর্যায়। আমি তাকে চিনি এবং কবি মুজিবুল হক কবীরও জানেন- সূর্যটা সারাদিন মিহি মাটির চৌপল পললে যে বীজ বুনেছে, তার ভেতর শুয়েছিল এই ঘুম।
এখন, এই রাত্রিবেলা ও জেগেছে সৃষ্টির কলহে