তালাশ তালুকদার এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

সাক্ষাৎকার

ঐ টাট্টুঘােড়ারা এমনই সৃষ্টিছাড়া শ্লেটে রসাত্মক বাক্য লেখে-অবসরে হাবিলদারের মত অনাত্মীয় গন্ধ পেলে দূর দূর করে তাড়িয়ে বেড়ায়। তবুও কেমন সুখী ওরা- বেডরুমে কাঁচা কাপড় সরিয়ে স্পষ্ট জবাফ়ুল; পাকা পেঁপের মতন দু’পায়ের ফাঁকে ভর করে থাকে। যেন অনায়াস ঝর্ণা; নিম্নমুখী হলেই ও নেচে ওঠে- জল বাঁকা হয়ে ঝুঁকে পড়ে জলের ভিতর- যাই, চক্ষুষ্মান দেখি ঐ আত্মার মাঝে কার ভূরু কাঁপে, কাকেই বা উহ্যে রাখে- ফ্রেন্ড, খবরাখবর, পূর্বপির ন্যায় চোখরাঙানী কি এই বয়সেও চলে!

ভৃত্য

সে প্রত্যহ খুঁটে খায় নৈশভােজের চাড়া, সব্জি-হাঁড়, ফড়িংয়ের- আসে কান খাড়া করে কিছুটা সতর্কভাবে, হেন ব্যত্যয় ঘটলেই ওঁনার স্বামী লাঠি তেড়ে দৌড়ে আসেন, ঐ ছাদের রেলিংয়ে দাঁড়ানাে বাড়ির ছােট মেয়েটির আবদার রক্ষা করতে দুয়েকটা চড়খাপ্পড়ের মতাে পিঠেও লাঠি পড়ে, ওনার বুক ফেটে যায়, তবু ওই আবাসিকে আর দশজনের সামনে আঙুল তুলে কাউকে দেখাক, এই হলাে ভৃত্য, প্রভুর সুবাসে মন উতলে তােলে, ল্যাজ নাড়ে, নিকট পৃথিবীর কেউ হলে- কী আশ্চর্য। আপনি! আপনি আমাদের দোড় গোঁড়ায়!

আসুন আসুন। দূর পৃথিবীর কেউ দেখে দাঁতে দাঁত কাটে, পাঁচিল টপকে যায়- সে হারামীর হেন ব্যত্যয় ঘটে।

এসরাজ

তােমার সঙ্গে কোথায় কোথায় না ঘুরে অকারণ সুরাপাত্র উপচে সেভিংসমতাে ভাঙ্গা শকটের চাকা হয়ে গৃহে ফিরি আর সদ্য সারা বাড়ি হেঁকে সাদা আঙুরের ঝুঁড়ি, ভূমি মাপার মতাে তেপায়া কিছু, রুহ্ আফজা, ঔষধের শিশিমতাে নামিয়ে রাখি (কেমন শৃংখলে এইটুকু ফ্লাটে দাঁড়িয়ে থাকে)- রােগীর মাথার কাছে, দুজন মানুষ বসে-ওরা শােনে, বােনের মতাে চুলে বিলি কাটতে কাটতে, গােচরে; সামান্য অশ্রুও ঝরায় পৃথিবী থেকে বহিষ্কৃত হতে দেখে।

মন্তব্য: