এমরান হাসান
‘ঘড়ির কাঁটা টিকটিক করিয়া বলিতেছে-
তোমাদের সুপ্ত চৈতন্য জাগ্রত কর, গৌরব তোমাদেরই হইবে’
(গ্রন্থবচন)
পলাতক কাহিনীর আড়ালে বেড়ে ওঠা ঘুম রাতের শৈশব- নগরায়নের পাঠশালা থেকে হেঁটে যাচ্ছে তোমাদের অন্য পৃথিবীর সৌরভে। বুকের পাঁজরে বারবার জেগে যাচ্ছে বরফ ফালির মতো উলঙ্গ চাঁদ। কবিতার ডানায় ঘুরে আসে কার কারণে?
তোমার উঠোনে জামপাতার বনভোজনে পরিতৃপ্তের ছিলো না কোন খোঁজ। কিংবা
অন্য কোন শোকপ্রস্তাবের কালো পতাকা শুঁকে চিনে নেয়া হাওয়াপর্বের দুরন্ত সকাল!
ছায়া-নামে বুঝি শরৎ সকালের ভেজা রোদ্দুরে! নগর শিল্পের কবিকথায়
শৈশব নেমে যাচ্ছে পুরোনো জলচৌকির আড়ালে। পূর্বপুরুষের জায়নামাজে
ফিরে আসে অসহ্য সুন্দর, সদ্যপ্রসূত রাত। সময়ের উল্টোপথে পা ফেলে তবুও
নাগরিক সৌধ তির্যক আলোর সম্ভাষণে ফিরে যায়…।
এ কার বিষণ্ন স্মরণের পালা? অন্য যৌনতার সুখে রাত ফেরে কবিঘরের ছায়ায়।
পরিচিত ব্যস্ত স্বপ্ন- ছায়া পথে ডেকে যায় অঙ্কুরিত রাত…
বুনো সত্যেরা অক্ষরের আরাধনায় প্রতিধ্বনিত- কাল কিংবা সময় সংলাপে।