সভ্যতার সম্পাদকীয়
পাজরে লিখে রাখাে আক্ষরিক পরিচয়
গােপন সূত্রেই পেয়ে যাবাে বৃত্তান্ত।
নিঃশ্বাসে ছড়ানাে লাঞ্ছিত অনুভূতি
অনায়েসে ঠাই নেয় খােয়াবনামায়
বেঁচে থাকে-বাঁচায়, সংক্রমিত করে স্বজাতি প্রজন্ম।
ধবংসস্তুপেই জমে উঠবে কোলাহল
ধূলােক্ষয়ে প্রদর্শিত হবে সংকেত
আর ব্যস্ততা বেড়ে যাবে খননের নেশায়।
সময়ের সূতাে বেয়ে ব্যবধানকে চিনে নিতে কষ্ট হবে না মােটেও
প্রত্নতত্ত্বের আথিতেয়তায় ঠিক ঠিক বুঝে নেব ভাষা
যে বর্ণমালা শিখিয়েছো তুমি, আমারই জন্য।
শূন্যাকাশে পূর্ণ যতি
তােমাকে দিতে পারি শ্রাবণের অর্ধেক ঘণত্ব
অথবা পরিপূর্ণ ভালােবাসা
বেছে নেয়ার স্পর্শে বুনতে পারাে
নকশী কাঁথা বা শীতল পাটিও
বিভাজিত করতে পারাে
মেঘ আর রঙধনুকে।
যে ধ্রুবকে জড়াতে পারাে ঈশ্বরকে
তােমার আমার সমঝোতায়
সেভাবেই ভাঙতে পারাে ব্যবধানকে
যুগ যুগের ক্রমযােজনে হতে পারাে
সিদ্ধ সাধক কিংবা প্রসিদ্ধ নাস্তিক।
ব্যত্যয়ে গড়ে উঠবে ভালােবাসার-
অপার সম্ভাবনা।