অজ্ঞাত অক্ষর
কালের শব্দঘুড়ি আদিনাথের অনিন্দ্র চূড়ায়
মহাকালের থাবায় জেগে থাকে অনন্ত বাতিঘর
গোধূলি ছড়িয়ে গেছে চারিদিকে জয়-জয়কার
আকাশের নিয়নচাঁদ টেনে ধরে অস্তিমপার
যে দিকে যাচ্ছো অন্তহীন পথ রেখা
পিছুটান ছাড়ো জপ করো রূপচাঁদা শরীর
ফুটন্ত কুঁড়ি যদি অকালে ঝরে
কালের বিচারক আদেশ দিবেন অজ্ঞাত অক্ষর
জিরোবেনা আক্রান্ত পেন্সিল, শব্দের দ্যোতনা
রূপচাঁদা কঙ্কাল কবিতার নক্ষত্র পাড়ায় নিঃসঙ্গ ডানা
রাক্ষুসী কিংবা হারামজাদী
আষাঢ় -শ্রাবণ আমার প্রেয়সীর কান্নার মাস
মাঝে-মাঝে অভিমান করে মেঘের ভিতর মুচকি হাসে
অবিরাম কাঁদছে কেন কুমারীত্ব নষ্ট হওয়ার রাত?
জলে তলানো পাড়া পড়শী পাষাণে বেঁধেছে প্রাণ কোন দোষে।
হতভম্ব মারাÍক অভাবে পিঠ লেগে গেছে দেয়ালে
তামাশা নয় লোচন কর্ণ খোলা রেখে দেখ
লেবুবাগানে পাহাড় ধ্বসে ঝরে গেল শত শত ফুল
ঊষা লগ্নে কালো পতাকা চারিদিক!
কী নাম দেবো তোমাকে, রাক্ষুসী কিংবা হারামজাদী?