মনজু রহমান
হাসপাতালে পাখি সেলাইন মুখে পান করে মাতৃদুগ্ধ
আহা, কোন্ বৃক্ষ সয়ে যাও পাখির হাসপাতাল
নারীর সমান।
যখন আধাজ্ঞানে আঁকড়ে ধরো এই বৃক্ষের হাত,
চেতনা পিছনে তখন ফেরারি, ফের যদি ফিরে আসে জ্ঞান…
ঈশ্বর, এই ক্ষণ যেনো দীর্ঘতর হয়,
লবন-ঘামের কাছে এখন যে নতজানু আরোগ্য বন্দনারত
সেও যেনো পায়,
তিলসম পরিমান সময়। যেনো-
এর মধ্যেই জলমুখো পথ খোলে মোহন-জোয়ার,
যেনো- ঢেউ আসে, ভাঙে বেদনার হুক, আষাঢ়ের
সূচ-বোতামে সেফটিপিন বিদ্ধ করে অসুস্থ বেহুলার শরীর!
যেনো- ছড়ানো চুলে একালের লক্ষিন্দর অস্থির
পান করে স্মৃতির নির্যাস, যখন হাসপাতালের পাখি
ভুলে বুনে মাকড়সার জাল।
যখন চেতনা ফিরে, পাখি আর নেই, সেই তুমি-
মুঠোর বন্ধন খোলো পাখির পালক- তুমি কে?
চিরুনির ফলায় বিলি কাটো এলোমেলো চুল?
অথৈ জলের মাঝে
আমাকেই মৃত্যুর দুয়ার থেকে তুলে নিলে বুকে?
ফুটালে চেতনার ঝলক, কে তুমি ফিরালে স্মৃতিরকোঠা?
তাকে পাখি চিনলে না, তাড়িয়ে দিলে!
দূরে আছো বহুদূর- তবু এই ঘর
ঝলমলে আলোয় যদি না ফেরে পাখির উচ্ছ্বাস,
তবে, তুমি ফের যাও অবচেতনে, হাসপাতালে!