বর্ণচোরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

স্বপন সৌমিত্র

বাড়ি থেকে নীরবে হেঁটে যাওয়া 

রেল লাইনের দিকে এবং ফিরে আসা- 

তোমার মুখ-আশ্রয় মনে করে ফিরে আসা বার বার। 

‘কি সুন্দর এই জীবন’

রহস্যের মধ্যে নিঃসঙ্গ জীবন

পাখির গানে জেগে থাকে মাথা নিচু করে।

অন্ধকার আলো মৃত্যু জন্ম 

এতে আর নতুন কিছুই হবে না। 

সৃষ্টির উত্তরাধিকার রাতের বেলায় 

খুব বেশি মনে পড়ে আমাদের। 

আততায়ী চোখ নিখোঁজ মানুষের জন্যে

মানুষের আড়ালে কিছুক্ষণ দাঁড়ায়-

গাছের ছায়ায় আছে কিছু নীরবতা; পাখির বাসা, 

পথিকরা এসব দেখে থাকে। 

জবাফুলও বর্ণচোরা হয় কখনো

পূজার নৈবদ্যে লাগে না জেনেও জলের কোন রঙ নেই

মানুষের ভেতরে আছে মানুষের বংশধর-

প্রজাপতি জীবনের রঙ বদলায় ফুলের গন্ধে

এসব জেনেও মানুষ কাগজের ফুল দিয়ে বাসর সাজায়। 

হাসপাতাল, রসুলপুর থেকে দূরে নয়, অদূরে…

মানুষ প্রকৃত-ই অসুস্থ-

আকাশ যখন নীল তখন ফুল ফুটল

এতোবার কথা বলছি- কেউ শুনছে না। 

আকাশে নক্ষত্র স্থির হয়ে থাকে কিছুক্ষণ

তারপর আমাদের ম্লান মনে হয় আমাদের মতো…

মানুষের হাতের ছাপ দ্বিগুণ হলে

মানুষের বয়স বাড়ে প্রতিদিনের সহজ কথায়- 

ত্রিভুজ : প্রতীক অর্থে ভাঙতে পারো।

সঙ্গীনি রয়েছে একসাথে

মানুষ গৃহপালিত বলেই বর্ণচোরা বলা সহজ। 

মন্তব্য: