পড়ে থাকে জন্মমাঠ
শুধু শব্দের কারুকাজে মন্ত রই। শিল্পীত রূপ খুঁজি
শিল্পের আধিতৌত যৌগরসায়নে। ধান বিগরে
তৃষভানি রুদ্রের গীত সহযােগে।
জীবনের তপ্তমাঠ, জল ও ঝঞ্ঝার ধ্বস্তগাঁথা
চোখে পড়ে না। অগােচরে থেকে যায়
সুকুমার কুড়িদের যত্নহীন ভবিতব্যতা।
দায় নেই গ্লানি নেই, অনুতাপহীন হয়ে
জন্মাবার সুখরখে সোঁতায় ভাসি।
অবহেলে পড়ে থাকে জন্মমাঠ, বিকলাঙ্গ শস্যের কণারা
অপুষ্ট কুড়ির গতরে।
শুধু ছুটে চলে
বৃক্ষের উদার ছায়ায় বেড়ে উঠে
পৌঁছে যাব বৈতরণী নদীর ঘাটে
এই ধ্রুবতত্ত্ব করে পণ-
কালাে মেঘ সাদা মেঘ বজ্রের ঝিলিক
শিরে সংক্রান্তি নিয়ে
পুরাতন পথ খুঁড়ে সেই পায়দলে
জীবন সত্তায় খুঁজি আলাের ইশারা
বুঝি, এই বুঝি পথচলা
সুদূর অতীত হয়ে তক্ষশিলা
নালন্দার ধুলােমাটি মেখে
ছুটে চলি কার উদ্দেশে
ছােট পথ বড় হয়
ইশারায় ডাকে কোন অবনতি নগর
এ শহর চিরচেনা আন্দোলিত এই জনপদ
শুধু ছুটে চলে
সমুদ্রের ইশারায় যেন কোন
মােহমুগ্ধ তন্দ্রাহীন নদী।