জাহিদ সােহাগ

আলােটা নেভাতে যাই- এলে, জানালার ভাঙা কাঁচ লাফিয়ে

ভেঙেও পড়লাে দু’এক টুকরাে। দুধের পাতিলে হাতধােয়া জল;

বলি, ইঁদুরের প্রশ্রাব তাে নয় যে অপমানে লাগে? -থাক,

থাক তােমার সােনালি আঁচড়। শয্যায় স্ত্রী একা।

ভেতরটা হুলস্কুল মাছ বাজার, বাইরে দাপিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টিঘণ্টা;

সমঝােতা করে নাও এই রাত্রি। তার ঈর্ষাকাতর যােনীতে ফলছে

জঘন্য তরমুজ। আমি ক্লান্ত ক্লান্ত। তবু চোখে অন্য জ্বর।

এখন বুকে কিছুক্ষণ নাক ঘষাে। আর সামলাও

চোখফোটা শাবকের লাফালাফি। জেনাে আজ রাত্রে

বাইরে নেমেছে জলের প্রাকার।

এমন ফুটেছাে মখমল, যেন বাগানে ফুটেছে ধুতরা

আর স্ত্রীর দিকে নেই নৌকাছেঁড়া টান; মানে এখন লাফিয়ে

আসবে বিছানায়- ঠিক জানি না, আবার সাথে করে এনেছো

কিনা প্রসবেদনা, মহামারী। মেহগনি তলায় উড়ছে ঘূর্ণিবীজ, তুমি

শুধু শত অভিযােগ নিয়ে, একাকী নিশ্চুপে খেলাে

নিজেরই ছায়ার সঙ্গে। আমি আর পারছি না। টাকশালে ছাপা হচ্ছে

ইঁদুরের বংশ পরম্পরা, তাকে বারবার থুতু দিয়ে গুণে গুণে

যত্ন করে বুক পকেটে! ছি ছি ছি…

এইতাে এইতাে গিলােটিন কিন্তু আমার শিরদাঁড়ায় নেমে যাচ্ছে

পতনের আলাপ ও সঞ্চারি; তার চে তুমি এসে শীতের সূর্যকে

পিঠ দিয়ে ভাগ করে দাও তােমার হৃদয়।

তােমার প্রাণ নারীমানুষের কৌটে ভরে রেখেছাে

তাহলে বাঁশঝােপে হারিকেন নিয়ে

আসে কোনাে চুপপাপ জোনাকি? যেখানে ইলেকট্রিক জিভ

তার রক্ত খেয়ে, ফেলে গেছে হাড়-হাডিডিতে

দাগ লাগা স্মৃতি। এমন সন্ধ্যায় আমি কাস্তে নিয়ে

গিয়েছি দু’এক বান্ডেল নক্ষত্র কেটে নিতে।

তখন তুমি শার্টে ব্লু দেবার মত করে নীরবতা ধারণ করেছো;

এখন আমি প্লাস্টিক থেকেও জন্মাতে পারি মাছ-

সব হারিয়েছে যে তাকে দিও না আর হারানাের দুঃখ।

মন্তব্য: