বিপন্নের হালউৎসব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

শিকদার ওয়ালিউজ্জামান

শ্রেণিযুদ্ধের তাবুতে বসে কীসব ভাবছি

অথবা কিছুই ভাবছি না

পাহাড়ী মেঘ, বৈরী বাতাস, অঘােষিত রােদ

চাঁদের হাটে অন্ধ আকাশ

এসবের ভাবছি না কিছুই

অকপট উচ্চারণে

অনুভূতির অস্বচ্ছ আবরণে

বিপর্যয়ের কপালে ঠোট বাড়িয়ে নিষিদ্ধ হবাে

এমনও ভবিতব্য নয়…

কী ভীষণ দুঃসময়, নিঃশব্দ নৈরাশ্য

বিভাজনের নির্মম প্রহসন, চারিদিকে অন্ধকার

অতি দূর অন্ধকার; তারপরও ভাবছি না, কিছুই ভাবছি না

বিকৃতির স্নায়ুগুলাে প্রায়শ ঠোঁট বাড়ায়

কর্কশ হয়ে ওঠে আমাদের সময়।

দুই

আমরা কেউ কেউ বিপ্লবী; হয়তাে সকলেই

ঘাতকের দিকে হাত বাড়িয়ে আমরা একাগ্র প্রেমে রাত জাগি

আমাদের দিন ও রাত সমান্তরাল

আমাদের ভয় নির্ভীক, সাহস শাসকের হাতিয়ার

আমাদের লক্ষ্য অদূর…

তিন

সুকুমার পলিকে বদলানাের অভিলাষ-

আমাদের চিরজন্মের স্বাক্ষর

আমাদের জলে ভয়, আছড়ে পড়া ঢেউয়ে ভয়

ক্ষরণে ক্ষরণে দাক্ষিণ্যের মহােৎসব; ওখানেই আমাদের

সব ঋণ। নিয়ত ক্ষরণ আমাদের ঈশ্বর..

চার

যারা ঘাসের ডানায় হামা দেয়

যারা পিঁপড়ের পায়ে গড়ে তােলে শ্রমের ফসল

যারা বিক্ষত হতে হতে হয়ে ওঠে প্রতিবাদি বন্দুক;

ওদের হাসিতে ব্যাথাতুর চোখের নহর; ঠোঁটে

     মৃতের বচন, বুকে পােষা রক্তনদী…

পাঁচ

আমাদের এ পাড়ায় মানুষগুলাে বিষগ্ন ঘুঙুর

মায়ের বিপন্ন চোখে কন্যের চৌচির আকাশ।

মন্তব্য: