শিবলী মোকতাদির
৮০
ভদ্র এবং প্রফুল্ল ফল আতা
স্বর্গে গেলে প্রচ- শর্করা
নরক বলে, ইহাই গ্রেনেড যা-তা !
৮১
কুলার উপর শস্য রাখা, দস্যু এসে ধমকালে
কুলের গায়ে কলঙ্ক বয়
অতীত বলে সেইকালে!
৮২
চালাক ছেলে চৈত্র মাসে হয়
ক্যামিস্ট্রি কয় সকাতরে
মাঘের মেয়ে নয়!
৮৩
বর্ষাকালে হুকুম ফেলে হুঁকা টানছে চাষি
বউ দিয়েছে দরজা সেঁটে
কাম হচ্ছে বাসি!
৮৪
পাড়ায় পাড়ায় মূল রটনা ফুল ফুটেছে বাঁশে
ঘাউড়া ঋতু দোষ চাপাচ্ছে শীর্ণ শীতের গায়ে
অকৌশলে বর্ষা এসে অক্টোবর মাসে!
৮৫
ক্ষুধার পেটে ক্ষুর চালিয়ে দেখি
মানব তো ছাই দূরের কথা;
ভয়- ঈশ্বরও পায় সেকি!
৮৬
পান্তা আসে পরব ঘুরে পহেলা বৈশাখে
ঘি-এর তাতে যায় আসে না
ইলিশ বহুত ফাঁকে!
৮৭
সন্ধ্যাভাসায় আসতে বলে পাঠালে সন্দেশ
এই মর্মে নানান সংশয়,
রেইনট্রি হলে বৃষ্টিগাছ, কান্ট্রি হলে দেশ!
৮৮
ব্যবহারেই বন্দি থাকে নানান জাতের বন্ধনী
মড়চেপড়া পা-ুলিপি মুদ্রিত হয় যখন
পাঠশুদ্ধির জন্য থাকে টীকা ও টিপ্পনী!
৮৯
ব্যথার গায়ে আকার দিলে লজ্জা যতখানি
ব্যাধির বেলায় ছাড়লে আকার ভয়ে
দিগন্তে লাল হচ্ছে লাজে তথ্যকল্যাণী!
৯০
নারী বলছে পুষ্প নেবো, পুরুষ চাইছে কাঁটা
প্রেমের প্রশ্নে গলতে থাকে
বিষণœ তারকাঁটা!
৯১
তালাশ করো, তালাশ করো
চোরকে বেঁধে চৌর্য শব্দে এসে
তৎসমভাব মর্মে রেখে তদ্ভবে ভাব গড়ো!
৯২
ডাবহাতে দাশবাবু, বাড়ি তার বনমালী লেন
ট্রাম কিছু লেট ছিল, হেসে বলে উত্তরে ;
নিভৃতে শুধায় যারে রোজ রাতে বনলতা সেন !
৯৩
ঘুমিয়ে পড়লে চাষা, গ্রামগঞ্জে ডাকাত পড়ে
কিছুই চাইছে না তারা, খালি হাসে
চাষি তার পড়েছে ফাঁপরে !
৯৪
ফুল মাত্রই ফলের কাছে ঋণী
নদীর কাছে নৌকা যেমন
সোনার কাছে গিনি !