বৈশাখের দহন
পৌণিক ভালোবাসার দহন কখনো সতেজ কখনো মরে!
চৈত্রের তাপদহে বৈশাখের প্রেমালয়ে যায় সে তো ঝরে…
স্বাভাবিক প্রণয়ে চলে পর্বে পর্বে তার উত্থান-পতনের সুর
বৈশাখের মিলন, ভাঙার! কামান্ধ! মিথক্রিয়া উড়ায় সুদূর
ভেজানো রৌদ্রতাপে; গামঠোঁট শতভাগে বিভক্তির টানে
সুচনা যা বৈশাখে শরৎ প্রবাহে তা উষ্ণতা কৌমুদী আনে
আগে ও পরে উৎশৃঙ্খলতা তারপর নিরেট ফলবতী কণা
বৈশাখ মন্দিরায় মাতাল; ঝড়ের পূর্বাভাস; প্রেম-উন্মাদণা
বৈশাখের পুনঃসন্ধি
যাবো না কেন, যাবোই তো চৈত্র শেষ; বৈশাখে যাবো
দীপাবলী, নূপুরের ঝুমঝুম, অপেক্ষার ঝুমকা বাজাবো
যেমন চেয়েছো তুমি; যৌবনের নীলখাম হঠাৎ ঠিকানা
তোমার শুবুদ্ধির নমস্য অরুনিমা; যখন আমি অচেনা
তখন তোমার শুষ্ক পারদের ওঠা-নামা; নবায়নের ধুম!
যাবো নিয়ে ঝুলব্যাগে অতীতপবর্; অভিনয় তরঙ্গের চুম
নিয়ে যাবো প্রথম পর্বের পাঠ; তাবৎ ভনিতার হাসি
প্রেমালয়ে পুড়ানো ধূপের ছাই; নিধুবনে যা ভালোবাসি
যা যা দিয়েছিলে; পূণ্যবান উষ্ণ-কথন; রাখা আছে জমা
ডেকেছো যাবো, এই তো চৈত্রের শেষ; যাবো অরুনিমা!
এই বৈশাখেই শেষ হোক অতীত অধ্যায়; নীলখাম চিঠি
হোক না পুনঃসন্ধি! ধ্বসের জৈবমন্দির যদি চাও অদিতি…