একটি আষাঢ়ে গল্প
আমি খুচরাে আকাশ নিয়ে ঢুকেছি মার্কেটে; মেঘের কয়েনগুলাে হারিয়ে ফেলেছি আমার চোখের পাতা কাঁপছে তীব্র আবেগে সুন্দরীর কটাক্ষের শােফিসে নক্ষত্র জ্বলে ওঠে ধাবমান পর্বতের মতো। আমি খেই হারিয়েছি অনেক লােকের ভীড়ে় দৃষ্টির আড়ালে কার বাজলাে নূপুর। আমার কথারা গেছে সেলসগার্লের চুলে চোখ গেছে আলােহীন দূরন্ত রাস্তায় আমার পকেট শূন্য: এখানে আকাশ দিয়ে না কি কিছুই হয় না। ভালবাসি সন্ধ্যা। আকাশেরা উড়ে আসে আমার চোখের ঠিক বাম পাশে শুয়ে থাকা তারাটির কাছে। আমি আকাশ ভাঙিয়ে খাই মেঘেদের মত। শুনি রবীন্দ্রসঙ্গীত-যদি কিছু পেয়ে যাই। যদি কেউ বলে ওঠে বালিকাশ্রাবণে ফাস্টফুডে বসে হাসে নদীর বাতাস; আর রাতগুলাে কেঁদে মরে সুখের মতন। আমি যেন মৃত বাঘ: ক্ষুধাহীন পড়ে আছি নীলহীন আকাশের জ্বলন্ত গ্রীবায়।
কেউ থাকুক আমার
বিনম্ৰ আগুনে আমি পুড়ে খাই আলাের উত্থান
জলস্বভারের রাত নেমে আসে মেঘের কার্নিশে
তাতে ক্ষতি কার? আন্ধারের?
জলশব্দে কাঁদুন ঈশ্বর
জোনাক কি নক্ষত্রের ক্ষুদ্র সংস্করণ?
তবে আর এতকাল ভয় দেখালেন কেন হে ঈশ্বর?
বৃষ্টি নয়-স্রোত নামে
মেঘ নয়চুল ভাসে
কত সূর্য পুড়ে যায় বিধবার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসে
রাখি নাই সে খবর
লিখি নাই সে রকম খুব কোন জলজলিরিক
এত প্রেম- অসহ্য আমার
আজ খুব ঘৃণা প্রয়ােজন
কেউ থাকুক আমার- আমি যার ঘৃণার পুরুষ।