কাজী কল্লোল
একটা স্বপ্ন রাখা ছিল বুক পকেটের ঠিক নিচে-
পরানের গহন গহীনে, হৃদপিন্ডের ঠিক পাশটাতে।
আঙুল বুলিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি, স্বপ্নটা যেনবা সেই প্রিয় কাঁচপোকা,
জারুলের সবুজে-শিমুলের লালে দিনমান ছুটোছুটির ছেলেবেলা।
কু ঝিক ঝিক ট্রেনের সিটিতে আজো ছুটে আসে কৈশর,
তুমুল রোদ্দুরে কখনো বা ঝিকিয়ে ওঠে প্রথম প্রেমের স্মৃতি।
প্রিয় মুখ ভেসে যায়- জানি- স্নান হয় প্রিয় ক্ষণ, পিঙ্গল আঘাতে আঘাতে;
তবু রাত্রি এলে পর, অনন্ত নক্ষত্রতলে প্রমিথীয় সুরে তুলি শেকল ভাঙার গান।
পান্ডুর রৌদ্রের ছায়ায় যখন আলোটুকু নিভে যায় রাত্রির জঠরে,
ঢেকে যায় অশ্বত্থের শরীর, থেমে যায় ঝিলের টোল খাওয়া জল;
যখন দু’দ্দাড় ছুটে আসে লুটেরা মেঘ, সাথে নিয়ে এক আকাশ অন্ধকার-
তবুও জানি ঈষানে, নৈঋুতে জমা দুঃখের গায়ে বেদনার সুর লিখা আছে।
অন্তহীন বুটের শব্দে ভেঙে যায় সাঁকো সব- দুঃস্বপ্ন পেরুবার,
উচ্চারণগুলো ক্ষীণ হতে আরো ক্ষীন হয়- অস্ফুট হয়ে ঝরে পড়ে;
তবু নিশ্চিত জেনে যাই, আমাদের শার্সি ভাঙা স্বপ্নেগুলো উড়ে যাবে ঐ-ঐ উঁচুতে;
নীলিমায় উত্তোলিত পাঁচটি আঙুল-মুখর পাঁচটি স্তম্ভ আমাকে এইসব কথা বলে যায়।