যোবায়ের শাওন এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

হে দেবী অথবা ঈশ্বরী আমার!

এক

তুমি শুধু চুল বেঁধে যাও 

পোষা বিড়ালের মত আদরে কাছে টেনে নাও

                         বুকের ওপর

আঙুলের কারুকার্যে চুল নয় যেনবা শব্দ বাক্য 

কথা কয়ে ওঠে, আশ্চর্য!

দুই

কেমন নিপুন হাতে দক্ষ চিত্রশিল্পীর মত একেঁ যাচ্ছো চুলের বেনী!

কিংবা তুমি যেন এক কবি যেখানে শব্দের বদলে আছে কেশ

আর তাই দিয়ে শব্দে শব্দে বাক্য যেমন হয় 

যেমন বাক্যরা সব নদী হয়ে বয়ে যায়

ঠিক তেমন করেই একটা কবিতা লিখে ফেলো তুমি 

অভ্যস্থ হাতে প্রতিবারই চুল বাঁধবার পর!

তিন

অথবা তুমি যেন ঠিক স্বভাবে কথাকার

আদিতম পবিত্র কোন গ্রন্থ প্রণেতার মত সব কথাই যার গান হয়ে যায়

আর বিশ্বাসী বলে তোমার প্রতি

এই অস্বভাবী আনতভাব!

চার

তারপরে তুমি পরিচিত হয়ে ওঠো অনেকটা শ্বাস-প্রশ্বাসের মত

যদিও সবাই বুকের ওঠানামাই দেখেছে কেবল

এবং অস্তিত্বের এত বড় উদ্দিপক অধরাই রয়ে গেছে 

কেননা এতো খুবই স্বাভাবিক আলাপ

কি আর হবে না জানলে প্রক্রিয়া, রক্তের চলাচল!

তখন মনে পড়ে, তুমি শুধু চুল বাঁধো নাতো

একেঁ ফেলো, একেঁ চলো সঙ্গীর সম্ভাব্য পদক্ষেপ

আর গভীর রাতে অস্তিত্বে যেমন

কোন ক্রিয়শীল শক্তি অনুভবে আসে

এবং এ ব্যপারে অবিশ্বাসী হলেও 

তাকে ঝেটিয়ে বিদায় করা যায় না একদম 

তখন একাকীত্ব যদি অশরীরি হয়ে যায়

এবং সে  ছায়ার প্রতি ভীতি থাকে

তবু জেনো, তোমার ভাবনাতেই তার মুন্ডুপাত ঘটে! 

পাঁচ

এবং তখন হে দেবী!

কিংবা বিনয় মজুমদারের মত বলে বসতে পারি ঈশ্বরী আমার!

এইবার চোখ খুলে চাও 

অদৃষ্টকে দেখবার আকাঙ্খা যার

আর দর্শনের পর

মূর্ত যখন শরীর

তখন স্পর্শের প্রত্যাশী যে মাথাখুড়ে মরে!

হে দেবী! অথবা ঈশ্বরী আমার! 

আপদ বিদায় হোক এইভেবেও তো করতে পারো 

প্রার্থিতের প্রতি কিঞ্চিৎ করুনা!

অকাতরে যা মিলিয়ে যাচ্ছে সময়ে,

                      বয়সে তোমার!

এরপর আর পাবে কি ফিরে এ সময়

                 কন্ঠের এমন কাতরতা

কিংবা একান্ত বিশ্বাসী আহবান!

মন্তব্য: