শামীম নওরােজ- এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

ঘাস ও পাখির জন্য

ফেলে দিতে পারি, কিন্তু এক্ষুণি ফেলবো না। থাক, কাছেই থাক। তুমি লুকিয়ে থাকো সবুজ রােদ্দুরে। কেউ দেখতে পাবে না। কেউ-কেউ বিস্ময় প্রকাশ করবে হলুদ আনন্দে। অন্ধকার, একা বসে আছে দেয়ালের পাশে। তাকেও ফেলবাে না। ফেলে দেবাে দেহ ও ঘামের সংসার। অন্ধকার মাড়িয়ে দিনের প্রথমেই জেগে ওঠে প্রিয় সূর্য। তাকে প্রণাম করে কতিপয় গৃহহীন পাখি। আমি কোনাে পাখি নই। মানুষের সঙ্গে উড়তে-উড়তে ফিরে আসি সন্তানের কাছে। সে থাকুক, একা, পাখিদের প্রত্নঠোঁটে। ঠোটের গভীরে অন্ধকার। অন্ধকারে জ্বলে ওঠে সন্তানের মুখ। তাকে ফেলবাে না। সে খেলবে ঘাস ও পাখির সঙ্গে।

আত্মীয়তা

তুলুম বৃষ্টিতে ভিজে, দাঁড়কাক, তুমি ফিরে যাচ্ছা বিভাসদার উঠোনে। সেখানে আমার কবিতা শৈশবের ঘুড়ি হয়ে সুনীলদার আকাশে ওড়ে। দাঁড়কাক, তুমি সেসব দেখতে পাবে দূ্র্গাদির শাড়ির আঁচলে, অপুদার কৌতূহলী চোখে। আমাদের কোনাে নৌকো নেই। খুঁজে দেখাে, ইছামতীর জলে থাকতেও পারে। বৃষ্টিভেজা পালক খসিয়ে তুমি কেঁদে ওঠো রাত্রির মধ্যযামে। বিভাসদা তখন কবিতা লেখেন জোছনার প্রতিভাসে। তুমি এসবের কিছুই জানাে না। অসীমা বিশ্বাস জানে, রিংকু মাসিও জানে। তারা কেউ কথা বলে না; নীরবে হারিয়ে যায় ইছামতীর জলে। আমরা নিকটেই থাকি। হাত বাড়ালেই স্পর্শ পাও। প্রয়ােজনে চিঠি লিখতে পারাে। উত্তর দেবাে। আমাদের গাছ, রাস্তা মােড়ের দোকান যে যার কুশল জানাবে। পারলে, কাঁটাতারের বেড়া তুলে দিও। একই মাঠে দেখা হবে যখন-তখন। সুযােগ পেলে আমরা যাবাে। তােমরাও এসাে। খালের এপারে আমাদের গ্রাম।

মন্তব্য: