প্রেম পুরাণ
রেখে ক্ষয়ে যাচ্ছি জোছনায়। মায়ার বিভ্রমে লিখে রাখা প্রেমপুরাণ- অক্ষরহীন নির্মম অধ্যায়। ঘরহীন তারার ভেতর অপেক্ষমান সকালের পৃথিবী, অচেনা শ্রাবণ…।
বিষণ্ন নদীর কলকলে ছেড়ে গেছি জলের মায়া। একজীবনের ডানায় পাইনি এতটুকু ছোঁয়া তার। পলিময় রাত শেষে পদ্মার ওপারে ডাকে রমনীঘুম- ফিরে এসো চোরাবালি রাত, ফিরে এসো মায়াময় অন্ধকার…
তার বুকে হেঁটে যাই জলপোড়া ছায়াশরীর, দ্বীপহীন দিনরাত।
তানপুরা আশ্রম
যেদিন আমরা সকালের শরীর থেকে সরিয়ে নিয়েছি
বাতাসের ঘ্রাণ; মানুষের বসতী থেকে সবুজ-
সেদিন থেকে পোড়া মগজ শষ্যহীন খামার…
অথচ একদিন মগজ-ঈশ্বর মানুষের হাতেই লিখিয়েছিলেন
পৃথিবীর ঋণপত্র; আর তার রোগা হাতে ছুঁইয়েছিলেন বৃক্ষের গ্রীবা
সেই থেকেই গাছেদের ক্রন্দন…
আবার কোন রাত বেনামী খসড়ায় ঋণী হলে বেচে দেব
মনুষত্বের পোড়ামগজ
আর দালিলিক হরফে লিখে নেব তানপুরা আশ্রম।