শ্যারন ল্যামপার্ট
কবি শ্যারন ল্যামপার্ট আমেরিকার নিউইয়র্ক-এ বাস করেন। তার পুরো নাম শ্যারন ইসথার ল্যামপার্ট। তিনি বিশ্বখ্যাত একজন কবি, দার্শনিক ও শিক্ষক। যৌন আবেদনময় নায়িকার কথা আমরা শুনেছি কিন্তু যৌন আবেদনময় কোন সৃজনশীল কবির কথা এ প্রথম শুনলাম। মানব ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে যৌন আবেদনময়ী সৃজনশীল প্রতিভা। কবিতায় তার একটি বিশ্ব রেকর্ড হলো ১২০টি অন্ত্যমিল নিয়ে একটি কবিতা লিখেছেন যার শিরোনাম “ইভের চোখে দেখা”। তার কাব্য সমালোচনা বিষয়ক অবদান হলো “আমার অমরত্ব”। তার দার্শনিক অবদান হলো “৪০টি সম্পূর্ণ সত্যি: বাস্তবতার তত্ত্ব”। তার শিক্ষা সমালোচনা অবদান হলো “আমেরিকার উজ্জ্বল মানসিকতার ধ্বংস একটি নীরব সংকট”। এই বইটি ডরংপড়হংরহ এর Wisconsin Gi Alma Public Library-তে মাস সেরা বই হিসাবে সম্মানিত হয়েছিল। তাঁর পরবর্তী বই “কিভাবে পৌরুষের উদ্যম নিয়ন্ত্রন করা যায়”। তিনি নিউইয়র্কের সমকালীন মহিলা কবি। তাঁর জন্ম সাল অনেকে খুঁজে পাননি।
শ্যারন ল্যামপার্ট-এর কবিতা
ভাষান্তর : শেখর দেব
অসম্ভব
বিষাক্ত দূষিত কিছু নিঃশ্বাসে টেনে নেয়া ছাড়া
বাতাসে বাঁচা অসম্ভব।
বিচিত্র রাসায়নিক আর ফরমালিন না খেলে
পুষ্টিকর খাবার গলাধঃকরণ অসম্ভব।
প্রিয়ার মানসিক জটিলতায় সজোরে ঝাঁকুনি না দিলে
ভালোবাসার সম্পর্ক টিকানো অসম্ভব।
এবং এটাও অসম্ভব শ্বাস-প্রশ্বাস, খাবার ও ভালোবাসাহীন।
অবিরাম সূর্যোদয়
সোনালী রোদের স্রোত
ডুকে পড়ে জানালার নিচে
অবিরাম নিদ্রারত কেউ
কোন নতুন সূচনায় ওঠে জেগে
সূর্যোদয় শোভা উপভোগে
আলোর বিস্ফোরণে জেগে ওঠে স্বাপ্নিক
সূর্যালোকিত আকাশের উপরে
একটি পৃথিবীর পূর্বাভাস।
যা এখনো সৃষ্টি হয় নি।
মনের মানুষ
সমস্ত দিন আর সমস্ত রাতের ভালোবাসা আমার
প্রবল আবেগী ও দৃঢ় প্রিয় আমার, সমস্ত রাত্রির
মাঝে উপভোগ করি আবেগপ্রবণ, আত্মিক
এবং দৈহিক অস্থিত্ব; অনুভব করি
তার পৌরুষের উদারতা ও তীব্রতা।
সমগ্র রাতের ভেতর প্রিয় দৃঢ় বাহুবন্ধনে
ধরে রাখে: উষ্ণ, কচি ও ফুটফুটে শিশুসুলভ আমি
সব সময় বুঝি কোথায় আছি, অনন্ত আজীবন নিশ্চয়তায়।
প্রিয়ার ছোঁয়া দির্ঘস্থায়ী হয়,
সমগ্র রাত আরামের ঘুমে
ভালোবাসা বহমান
সুন্দর স্বপ্নের প্রণয়ে।
ভোরে প্রিয়ার নরোম চুমুতে উঠি জেগে,
হৃদয় সকালের কুয়াশার অবিকল ভাসে,
পূর্ণ হয়েছে প্রেমের প্রতিশ্রুতি আমার।
সমগ্র দিবস একটি নতুন গানের
সুরের গুঞ্জনে থাকে হৃদয় আমার।
ঈশ্বরসৃষ্ট গর্ভপাত
১.
সৃষ্টির শুরুতে স্রষ্টা বানিয়েছে স্বর্গ ও পৃথিবী-
২.
প্রতিটি নারীর গর্ভ আশ্চার্যজনক খালি যখন
ঈশ্বর বানিয়েছে লক্ষ লক্ষ ডিম্বাশয়, দ্রুতগামী জীবদ্দশায় একের পর এক
প্রতিটি ডিমের হয় তরঙ্গায়িত পতন । ঈশ্বর নারীর প্রতি দয়ালু হয়ে গর্ভপাত বানিয়েছে।
এবং এটাই হয়েছিল।
এবং প্রতিটি পুরুষের ভেতরে ঈশ্বর বানিয়েছে লক্ষ লক্ষ শুক্রানু, যাদের
ফুরফুরে জীবদ্দশা শেষে তরঙ্গায়িত পতন ঘটে স্রোতের প্রতিকূলে, মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে।
স্রষ্টা বানিয়েছে গর্ভপাতের পথ মানুষের মঙ্গলে। এবং এটাই হয়েছিল।
৩.
ঈশ্বর বলেছিলেন, “গর্ভপাত হতে পারে” এবং গর্ভপাত ছিল।
৪.
ঈশ্বর দেখেছিল যে গর্ভপাত ভালো, এবং ঈশ্বর ডিম্বাসয় হতে শুক্রানুকে আলাদা করলো।
৫.
ঈশ্বর শুক্রানুকে বলেছিল ‘পুরুষ’ এবং ডিম্বাসয়কে বলেছিল ‘মহিলা’
এবং একদা সেখানে পুরুষ ও মহিলা ছিল।
৬.
ঈশ্বর বলেছিল, ধারণা করা যাক, একটি লেজ বিশিষ্ট শুক্রানু এবং
একটি নিমগ্ন ডিম্বাসয় একাকার হয়ে মানব প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল।
এবং ঈশ্বর নিচু প্রজাতির মধ্যে ডিম্বাসয় আর শুক্রানুর মধ্যে রেখেছে
বড়ো টিকে থাকার অনুপাত।
৭.
এবং ঈশ্বর বলেছিল, “প্রতি মাইলের বসবাসরত মানুষের চেয়ে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে পিঁপড়ার পরিমান বেশি”
এবং এটা এভাবেই হয়েছিল।