বিপ্লব রায়
এবারও উৎসবে চেয়েছিলাম এক ঝটকা জল।
মেঘও বজ্র আঙুল দিয়ে বেহিসাবি ওড়না খসায়-
শিবের জটা খুলে গঙ্গাও আলুথালু হয়
কেবল তুমিই জলচাপা মেয়ে শুনলে না চেরাপুঞ্জির গান।
আমার জিহ্বায় জমে ছিল প্রাকৃত সংসারী লালা
তবু মাকড়ের মতো লুকানো খিদে পায়নি সদুত্তর,
কেবল কার্নিশের কোনে খুলেছিল কেউ কালো ঝুলকালি শাড়ি।
আমারও যৌবন ছিল আস্তাবলহীন প্রবল হ্রেষা
আমারও শরীর ছিল কোনারকের পাথুরে পুরুষ-
বাৎসায়ন কোমরে গোঁজা চৌষট্টি তীব্র তলোয়ার,
তবু শৃঙ্গারে লেগেছিল শাপ প্রাচীন পান্ডুর মতন।
আমি তো অর্জুন নই পাঞ্চালের প্রেমের নিলামে
লম্পট সহিস সেজে করিনি সুভদ্রা হরণ
হিড়িম্বা-কষ্টে পুড়ি প্রতিরাতে বাঙালি স্বভাবে।
তাই ব্যাসের বশ্যতা ছেড়ে রাখাইন রতির আরতি
একবার শুরু করি জল ছুঁয়ে সম্মতি দাও।
পাঁজরে পান্ডব অপমান ভুলে যাই সুধার নেশায়
দ্রৌপদীর কাঁচুলিতে এক সারি সহজ বোতাম।
মন্তব্য:
বিপ্লব রায়
Member since