সুমন শিকদার-এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

ভেতরের গান

সাধুরা ঘুড়ি উড়ালে ভালো ওড়ে। আমি উড়ালে কাইত-কুত হয়; কাইত-কুত আমার ভালো লাগে। সাধুরা চোয়াল ভাঙ্গা বুলি ছোড়ে সে বুলিগুলো আমি যতন করে রাখি। আমার ভিতরটা খা খা করে খালি কলসের মতো। সাধুরা সাধতে পারে ভালো, বাঁধতে পারে ভালো; কথার যাদুকর। আনুষ্ঠানিকতা ছুড়ে ফেলে বৈরাগ্যের ব্যক্তি সংসার। আমি পারি না তা ছুঁতে। স্বপ্নকে আগলে ধরি।

সময়ের কাল জলধর মানে না কিছু। সাধুদের কাছ থেকে নিয়ে নেয় কর। আমি জানি ঐ সময়ের স্রোতেই অবশিষ্ট পালকগুলো মাথা দোলাতে দোলাতে আমাতে সন্নিবেশিত হবে। আমি নিশঙ্ক হতে পারি না আগলানো স্বপ্নের বাতায়ন ধরে।

তন্দ্রায়

স্বপ্নে নায়ক-নায়িকাদের শির থাকে না। তারপরও তাদের দু:খ-কষ্ট, খুনে হাত, রক্তরাঙা পলাশের রাজপথ সবই চেনা-জানা যায়। স্বপ্নের গাছগুলো বাকল ছাড়া, ধমনি ছাড়া দেহ। আমার বন্ধু যে মরাল হতে চেয়েছিল, তার একবার শিরচ্ছেদ হল আমার ঘরের দোরে। মরালের বন্ধুরা ছুটে-ছুটে এলো চারদিক থেকে। আর আমি তখন বর্ণচোরা হলাম আমার ঘর বলে। মুরলীতে ফুঁ দিতে-দিতে বৈরাগে ভাসতে চেয়েছিলাম বিরহ জ্বালায়।

কষ্টের গান গাইতে-গাইতে বৃষ্টির ভেতর শিষ দিল সকালের দোয়েল। আমি তখন জেগে দেখি হতাশার কিছু নেই।

মন্তব্য: