এম. আসলাম লিটন
বৈশাখী বাতাসে দুলে ওঠে চাঁদ
জ্যোছনারা ভেসে যায় দূরে
ভেঙে খানখান হয় তারা নামহীন চিরায়ত সুরে
মধু আহরণ শেষে ফুলে ফুলে জমে থাকে
জ্যোছনার পুঁজমাখা বেদনা বিধুর
ক্রমায়ত কাছে আসে দুইমেরুপারে থাকা অচিন্তপুর!
বাতাসের তোড় যত বাড়ে
হিম হিম বাত জমে হাড়ে
মোহময় রাত তবু পিছু তো না ছাড়ে
মাতাল বাতাসে নাচে ঝাঁকঝাঁক হুর!
কালচে আকাশে ধরে চিড়; নিমেষেই ভেঙে হয় চুর!
সেই মাতাল মোহময় রাতে
তুমি ছিলে সাথে; হাতে ছিল হাত
দেহ থেকে দেহে চুল পরিমাণও আর ছিল না তফাৎ;
তবু মহাকাল থেকে আশ্চর্য ক্ষিপ্রতায়
ধেয়ে আসে কালকেউটেময় কালরাত
কালবৈশাখী এসে ছিঁড়ে দিল নৌকার বিরুদ্ধ পাল
দেহভেদী মনোভেদী অন্তর্জাল; কিষাণের হাল
পূঞ্জিভূত মেঘ দামার-দাপটে আনে পরাভূত জীবনের জয়;
আর তখনই সূচিত হয় দুর্দান্ত তুষারসময়…!
বৈশাখ শুধু ওড়ায় না; পোড়ায় না
জর্জরিত করে না দেহে তাড়নার জ্বর;
মাঝে মাঝে গড়ে তোলে বুকের জমিনে হিমঘর!