বন্ধুর জন্য ফিরে দেখা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এম মনির উজ জামান

প্রতিটি মানুষেরই একটা না একটা বলার মত গল্প থাকেই। এখনকার গল্পটা যেমন দিপুর। দিপু এমনিতে আমার বয়সে কিছুটা ছােট। তবে এখন সে আমার বন্ধুদেরই একজন। আমাদের বিকেলের সময়টা পার হয় আতর আলী পাঠাগারের বারান্দায়। আয়েশী চেয়ার পেতে। আমাদের এখানে আড্ডা দেয়ায় কারােই জারিজুরি খাটেনা। যেহেতু আমরা এ পাঠাগারের সদস্য, নিয়মিত পাঠকও। আর দিপুর কথা তাে চলেই না; সে পাঠাগারেরই সহযােগী লাইব্রেরীয়ান। কিছু ব্যস্ত পাঠক অবাক চোখ ফেলে ক্রসিং হয়ে লাইব্রেরীর ভেতরে চলে যায়; ভেতর শেষে বাইরে। মাঝে মাঝে ঝন্টু কাকা পিঠে চাপড়া দিয়ে, কী মনির-উজ-জামান কেমন ? বলেই পাশ কেটে পাঠাগারের ভেতরে প্রবেশ করে। কাকাই এ লাইব্রেরীর লাইব্রেরীয়ান। আমাদের আলােচনার বিষয় বস্তু কোন সংকীর্ণতায় আবদ্ধ থাকে

না। রাজনীতি-অর্থনীতি-সাহিত্য-বিজ্ঞান-ইতিহাস থেকে শুরু করে যুবক বয়সী গল্পও স্থান পায় এ আলােচনার বিষয় বস্তু হিসেবে। আমাদের সংগ্রামী আড্ডার সহযােদ্ধাদের সবারই পরিচয় দেয়ার মত যথেষ্ট যােগ্যতা আছে। দিপু-লিখন এরা দু’জনই আইন বিষয়ে পড়ছে। ষ্টেডিয়াম পাড়ার সুবােধ ছেলে সুমন ইংরেজীতে অনার্স পড়ছে ইবিতে। প্লাবন; প্লাবনের মতই হঠাৎ এসেই আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায় তার কবিতা আর গানের বন্যায়। আমাদের ভেতর নিরেট সাদা পাতা মানুষটি আমি নিজে।

তবে হ্যা সমাজ সংসারের আগুনে পুড়ে পুড়ে হয়তাে-এ-সাদা পাতায়ও কিছু আঁচড় পড়ে। তবে সে কথা এখানে নয়; আরেক দিন।

লিখন ও প্লাবনই আমাদের মধ্যে সিগ্রেটপ্রেমী বলতে যা বােঝায় তা। আমরা মাঝে মধ্যে ভালােবাসার ধমক লাগাই-এহেন নিষিদ্ধ প্রেম একটু আড়ালে আবড়ালে সেরে ফেলার জন্য। যাই হােক দিপুর স্মৃতি আর আমার সাহিত্যের মিশেল ঘটিয়ে পাঠকদের হৃদয় বরাবর মিসাইলটি এখন ছুঁড়তে চেষ্টা করবাে। খুব মজাই হবে দিপুর ঘাড়ে বন্দুক রেখে পাঠক শিকার; কী বলেন সবাই ? কিন্তু হােসেন চাচার কথাটা মনে হতেই থমকে যেতে হয় কিছুটা। তাঁর মতে বাঘ মারতে শত্রু পাঠাও; তাতে বাঘ মরলেও লাভ শত্ৰু মরলেও লাভ। কী জানি দিপু আবার আমাকে শত্রু ভেবে স্মৃতি কথা লিখতে বললাে কীনা? তারপরও দিপুর স্মৃতি কথা রিপ্রেজেন্ট করছি এখানে।

রাশভারি কিশাের স্যারকে কিন্তু আজ অতােটা গম্ভীর দেখাচ্ছে না। স্যার যেন আজ আট ঘাটি বেঁধেই স্কুলে এসেছেন। এই চোপ চোপ; তােমাদের এখন একটা ভালাে খবর দিচ্ছি। তােমরা যারা প্রাইমারী পাশ করে এখন স্কুল ছাড়বে; তাদের নিয়ে আগামী পরশু কেনালের পাড়ে বনভােজনে যাওয়া হবে। কেমন হল প্রােগ্রামটা? তর্জনী তাক করা আমার দিকে। স্যার আমি যাব। দিপুর এমন ক্যাবলাকান্ত উত্তরে বাকী ছাত্রের অনেকেই হেসে উঠলাে। কিন্তু প্রস্তাবটা কেমন হল দিপু? সেটাতাে বললে না। খু-উ-ব ভালাে স্যার। না,

দিনটাকে মাটি করার কোনই মানে হয় না।

রিকশায় না চেপে তাই হেঁটেই রওনা দিলাম বাড়ীর পথে। কখনও সখনও যখন কোর্টের পিছন দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাই হৌঁদল কুঁত কুঁত শরীরের পান দোকানদারটার গা জ্বালা করা দেঁতাে হাসি দেখতে হয় অনেকের মত আমাকেও। কী অদ্ভুত; দেখা হলেই মনি একটা পান খাওনা আটআনা দামের। কুটুমের সুর ধরে গলায় । খুব ভাল পান। খেয়েই দেখনা একটা। এই প্রথম দিপু একটা পান মুখে দিল। না; লােকটা আসলে এতটা খারাপ না। একা মনেই হেসে উঠলাে দিপু। বাড়ির সবাই কি বিশ্বাস করবে ? যে দিপু পরীক্ষায় ফার্স্ট  হয়েছে। ভাইয়া কিছুতেই বিশ্বাস করবে না জানি। প্রােগ্রেস রিপাের্ট দেখলেও নম্বরগুলাে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখবে কোন নম্বর বাড়িয়ে লিখেছি কিনা। না; প্রােগ্রেস রিপাের্ট দেখিয়ে কাজ নেই আজ। বলবে হারিয়ে গেছে। এতে ভাইয়ার মনে অবিশ্বাসের বরফ জমবে বেশ। কানে ধরে হয়তাে বলবে বদমাশ ফেল করেছিস কী না আগে সেটাই বল ? এখন বলা হচ্ছে ফার্স্ট হয়েছি। মার কথা অবশ্য এর মধ্যে না টানাই ভাল। মা বলবে আমি জানতাম তুই একদিন না একদিন ভাল করবিই করবি। হলােও তাই। মা দরজা খুলেই বললাে কীরে দিপু পরীক্ষাযর খবর কীরে ? মা আমি প্রথম হয়েছি। মাকে জড়িয়ে কেঁদেই ফেললাে সেবার। পাশের রুম থেকে ভাইয়া এসে হেঁড়ে গলায় কীরে গাধা শেষকালে তুই কিনা পরীক্ষায় ফার্স্ট হলি ! আমার তাে এখন দায়িত্ব বেড়ে গেল রে। পরীক্ষায় কিছু একটা হলে এখন আব্বা আম্মা তােকেই রেফারেন্স টানবে দেখছি।

দিপু আজ সত্যি সত্যি যেন ঘরটাতে দীপ জ্বালাতে পারলাে। বাবা কর্মস্থল থেকে ফিরে রাতে আয়ােজন করলাে ঘরােয়া পিকনিকের। খাবার মেন্যুতে দিপুর পছন্দসই খাবারগুলােই স্থান পেল। ভাইয়ার ইলিশ তেমন একটা পছন্দ না হলেও দিপুর সফলতা আজ দিপুর রুচি ফেরাতে পারলাে যেন। মাথাটা রসিয়েই খাচ্ছে সে এখন।

পিকনিকের দিন সকাল করেই মিঠু দিপুকে তুলে দিল ঘুম থেকে। মনসা বস্ত্রালয়ের একটা পলি ব্যাগে মেলামাইনের থালি গ্লাস আর একটা গামছা ভরে নিল দিপু। জলার ধারে পিকনিক হবে আর সে কীনা গােসল করবে না; সাঁতার কাটবে না তাই কী হয় ? মা শুধু একটু শুধরে দিল সাবধানে নামতে এই যা। খাড়া ঘাটের পাড়টা আজ বেশ উৎসবে পূর্ণ হয়ে উঠলাে হঠাৎ। পিটিআই থেকে সবাই রিকসায় চেপে এখানে এসেছি। আমাদের নেতৃত্বে থাকছেন গােলদার স্যার। স্যার একেকটা রিকসা ডাকেন আর আমরা হুটোপুটি করে উঠে পড়ি সেটাতে। তখন থেকেই আমাদের বনভােজনের আনন্দ। মানুষের যে পাখা গজাতে পারে তা দিপুর কাছে সত্যি মনে হল আজ। ক্যানালের পাড় ঘেষে হেঁটে হেঁটে ওরা কয়জন বেইলী ব্রীজটার কাছে চলে এল।

দিপুতাে ব্রীজের পাশে একটা আম গাছে ঠেস দিয়ে আছে লক্ষ্মীকান্দার গ্রাম সােজা মুখ করে। মনিরটা দিপুর চাদিতে চটাস করে একটা চাটি বসিয়ে; কীরে দিপ্যা কবি হলি কবে থাইক্যা? বলেই ব্রীজের ঢালু বেয়ে জলার দিকে নেমে গেল হন হন পায়ে। মনিরটা এমনিতে ভাল। কিন্তু সারাক্ষণ মানুষের ইয়েতে লাগবে। কোন সময় অসময় জ্ঞান নেই হতচ্ছড়াটার। সবার পেছনে ওর লাগা চাই-ই-চাই। নচ্চার পাজি কোথাকার।

: দিপু-উ-উ-উ। অ্যাই; দিপু-উ-উ। এদিক আয় মাছ ধরবাে; মাছ। চিংড়ি; চিংড়ি। খুউব চিংড়িরে এখানে। আয়নারে গামছাটা একপাশে ধরবি আয়।

: আসছিরে চম্পক, আসছি।

যাই বললেও যাওয়া হয়না দিপুর। শান্ত ক্যানালটাতে ছােট ছােট ঢেউ আর উড়ে যাওয়া একটা একা পাখি দিপুকে উদাস পৃথিবীর সীমানায় ঠেলে দ্যায় আচমকা। দূর পাল্লার হিনো গাড়ীগুলাে সাঁই সাঁই করে এদিক সেদিক ছুটে যায়; দিপুর কল্পনার দীর্ঘ দেয়াল কাঁপিয়ে দিয়ে। একটা স্মৃতির সুতাের টানে আনন্দ উৎসব কোলাহল থেকে ক্রমশঃ সরে যায় দিপু। ক্যাপস্যুলের ওপরের লাল-নীল হলুদ সবুজ অংশটা যেমন আসল না; আসল হচ্ছে এড়িয়ে যাওয়া ভেতরের গন্ধময় অংশটুকু সেটাই আসল। যার সন্ধান কেউ নেয় না। আজকে যেন তারই সন্ধানে ফিরছে দিপু বেলনগর থেকে ফিরে আসা একটা খালি রিকসা দেখে ইশারায় থামিয়ে সবার চোখ বাঁচিয়ে উঠে পড়ে। ইশারা পেয়ে শহরের দিকে এগােতে থাকে রিকসা। দিপুর একটা ভীতি আছে; আছে কষ্ট যন্ত্রণা; পালাতেই হবে এই উৎসব থেকে। ২ নম্বর স্কুল থেকে যেয়ে ক্লাস ধ্রী-তে ভর্তি হল পিটিআই স্কুলে একদিন। তারপর বন্ধুত্ব হলো গ্রামের ছেলে আকাশের সাথে। এক ক্লাস, দুই ক্লাস করে সে বন্ধুত্ব অটুট থাকলাে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। দিপু আকাশ ক্লাসের শান্ত ছেলেদেরই দু’জন। সেদিন ক্লাস চলাকানীন সময় আকাশ পেছন থেকে কলমের পেছনের অংশ টেবিলে ঘঁষে ঘৃষে গরম করে দিপুর কানে ছ্যাঁকা দিতে ঠেসে ধরে এক মনে। সহ্যের সীমা ছাড়াতেই এক সময় পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে এক ঘা বসাতেই স্যারের রােষানলে পড়ে যায় দিপু। স্যার সপাংসপ বেত কষে ওর পিঠে। দিপুকে ক্লাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার হুকুম করলাে। মনিরটা পাশ বেঞ্চ থেকে সুখ সুখ মুখ করে স্যারের পড়া গিলছে আর ট্যারে ট্যারে তাকাচ্ছে দিপুর দিক। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষটা এখন মনিরের ভেতর বাস করছে। দিপুর করার কিছুই নেই। পেছন ফিরে তাকাতেও পারছে না তাই; আকাশটা কি করছে দেখতে হচ্ছে না। ঘন্টা পড়লে স্যার বের হয়ে যায়; দিপুকে বসতে না বলেই। কিন্তু স্যার চলে গেলে আর তার হুকুম তামিল করবে এমন নির্বোধ দিপু না। তবে দিপু না বসে চটাং করে ঘুরে ঝাপটে ধরে আকাশকে। তারপর ঘুষি মারতে থাকলাে ইচ্ছে মত অনেকগুলাে। আকাশ এই এই করলাে শুধু কোন প্রতিরােধ করতে চেষ্টা করলাে না। আকাশ বেঞ্চের পাশে পড়ে গেলাে তখনও দিপুর রাগ থামার কোন লক্ষণ তৈরী হল না। এতাে দিনের দু’জনার জানা শুনা বন্ধুত্ব টিফিন ভাগাভাগি করে খাওয়া এ সবের কোনই কানাকড়ি মূল্য থাকলাে না আজ। আজকের ঘটনাই প্রবল এবং চূড়ান্ত হয়ে ফুটে উঠলাে শুধু। স্যার আসার আভাস পেয়ে কেবল দিপু নিরস্ত্র হল। আকাশ পড়ে থাকা বই গুছিয়ে নেয় এরই ফাঁকে।

দিপু এভারেক্ট জয়ের আত্মতুপ্তি মুখে নিয়ে ক্লাস করতে লাগলাে। অনুশােচনা করার মত দুর্বল মানসিকতার ঠাঁই নেই এখানে। ঢং ঢং ঢং করে ঘন্টা পড়লে ছুটির আনন্দে সবাই শিশুশুলভ উন্মাদনায় লম্ফ ঝম্ফ পায়ে বাড়ির পথে পা রাখল। কেবল আকাশ তার নিজের বয়েস বেশ কয়েকগুন বাড়িয়ে ভারি পায়ে এগােলাে শুধু। পরের দিন বেশ ঠান্ডা মেরে বসে থাকতে দেখা গেল তাকে। দিন কয়েক ক্লাস করার পর সবাই ঈদের ছুটি পেল। নিয়ম করেই স্কুল খুললাে একদিন। দিপু ঢাকায় থাকায় এরও কিছু দিন পর স্কুলে যেতে হল তার। তাই একটা বিশেষ ঘটনা তার সময় মত জানা হল না। একদিন জেনেছে সাখার কাছ থেকে। সেদিন পেট ব্যথার একটা মিথ্যে অজুহাতে বাড়ী ফিরতে হয় দিপুর। তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেয় নিজেই। তার নিজের জন্য না হলেও আকাশের জন্য। সেই সিদ্ধান্তের

একটি এই পরীক্ষায় প্রথম হওয়া। কী একটা অসুখে আক্রান্ত হয়ে ঈদের পর পরই আকাশের মৃত্যু হয়। আকাশের সাথে বন্ধুত্ব হলেও তার বাবা মায়ের খবর; তার ঘরের খবর কখনও নেওয়া হয়নি। তাই গ্রামের সেই অচেনা পথটি আজও অচেনাই থেকে গ্যাছে। সেই অপ্রীতিকর ঘটনার পর কয়েক দিন দেখা হয়েছে আকাশের সাথে কিন্তু কথা হয়নি একটাও। সেই তুচ্ছ একটি চরিত্র কালের কষ্টি পাথরে যার কোনই মূল্য নেই; মর্যাদা নেই। কিন্তু সেই তুচ্ছ চরিত্র দিপুর জীবনে এক সময়ে ঘােড়ায় চড়া রূপ কথার সাহসী সুন্দর রাজ কুমার হয়ে ধূলি উড়িয়ে ফিরে গেল অচেনা নগরে। দিপুর সামনে দিয়েই। সেই সাহসী সুন্দর রাজ কুমারকে উৎসবে না পেয়ে তাকে পালাতে হল। একা পাখির উড়ে

যাওয়া একলা পথে। কষ্টের একটা পাহাড় ঠেলে ঠেলেই। জে.টি.সি রােড পার হয়ে জামে মসজিদ রােডে বাঁক নিতেই হাতের ইশারা পেয়েই রিকশাওয়ালাকে একটা টুং টাং শব্দে রিকশা থামাতে হয়। দিপু নদীর দিকে এগিয়ে যায় ঢালু বেয়ে; একটা দলছুট কচুরি পানার পানে তাকাতে তাকাতে হালকা বৃষ্টি মাথায় করে নদীর কূলে একটা বুকের ওপর বসে থাকে। পানাটা এগিয়ে যায় বাজার ঘাটের দিকে। দিপু তাকিয়েই থাকে সেদিক। ভাবনার সিঁড়িটা তার সামনে এখন। একপা দু’পা করে উঠে যায় সে পথে। সামনের আকাশটায় সূর্য তার রশ্মির মেধাবী তুলি দিয়ে রঙ ফেরায়। দিপুর চোখ আবদ্ধ হয় সেই রাম ধনুর দিকে। ঘাড় গােজা ভাবটা কেটে যায় এতে কিছুটা। ছবির মত সাজানাে পরিবেশটা এখানে। দু’পাশে খেয়া পারাপার হচ্ছে কিছু হিসেবী মানুষ। বিকেলের সিঁড়ি বেয়ে নামছে সন্ধ্যা ধীর পায়ে। কিন্তু আঁধারের পাখনায় এখনও ঢাকা পড়েনি শিশু এ জনপদ। পেটের ভেতর ভুখা মিছিল শুরু হয়েছে; পাটের গুদামের পাশ দিয়ে নেমে আসা ড্রেন থেকে উৎকট গন্ধ আসছে। উঠে দাড়ায় দিপু ক্লান্ত অথচ দৃঢ় পায়ে হাটে জামে মসজিদ রােড ধরে; মাগুরা প্রিন্টার্সের আগের গলিতেই দিপুদের বাসা। দিপুর কাছে আজ বড় বেশী প্রশ্নবােধক হয়ে উঠে আকাশের মৃত্যুটা। তার মৃত্যুর পেছনে আসল কারণটা কী অসুখ না দিপুর উপর অভিমান ? নাকী অন্য কিছু! হিসেব মেলাতে চায়; কিন্তু মেলেনা হিসাব।

মন্তব্য: