বাঙালি সমাজ, সংস্কৃতি ও পহেলা বৈশাখ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

হোসেন উদ্দীন হোসেন

সুদূর অতীতকালে বাঙালিরা ছিল একটি জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠী ছিল প্রধানত কৃষি অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ তৎকালে যে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল সেই সমাজটি ছিল জমি ও ভূমিকেন্দ্রিক।

মধ্যযুগে বাঙলায় ‘জমি’ বা ‘ভুমি’ শব্দ দু’টির অর্থ ছিল ভিন্ন। কৃষকদের কাছে জমির অর্থ ছিল, জমি হলো কাজ করার জন্যে নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত। এই ক্ষেতটুকু সে নিজস্ব ভোগদখলের মালিক বলে মনে করতো। সমাজের অন্তর্ভুক্ত জনগণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি অলিখিত নিয়ম ও বিধি। বংশ পরম্পরায় এই নিয়ম ও বিধি প্রচলিত ছিল। এই প্রচলিত ব্যবস্থানুযায়ী ‘জমি’ তার বংশধররাও ঐতিহ্যসূত্রে ভোগদখল করতো। 

আর একদিকে সামন্ততান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ‘ভূমি’ শব্দের অর্থ ছিল ‘ভূ’খ-। ভূ’খণ্ডে যারা বসবাস করতেন তারা ছিলেন রাষ্ট্রের প্রজা। এই প্রজারা ভূ’খণ্ডে বসবাস করার দরুণ ভূ’খণ্ডের মালিক রাজাকে নির্দিষ্ট রাজস্ব প্রদান করতেন। 

পরবর্তীকালে বিকাশ উন্মুখ সামন্ততন্ত্রের যুগে রাজ্যের সমস্ত তালুকে একটা শর্ত আরোপ করা হয়। শর্ত ছিল নিম্নরূপ-

(ক) অপেক্ষকৃত স্বল্পবিত্তবান ভূ’স্বামীদের নিকট কোনো শর্তেই ভূমিদান কিংবা হস্তান্তর করা হতো না। 

(খ) কৃষকরা জমিতে কিভাবে চাষ করবে, এ ব্যপারে ভূ’স্বামীরা হস্তক্ষেপ করতো না।

(গ) ভূ’স্বামীরা রাজস্ব ধার্য করতো আবাদি জমির ওপরই।

(ঘ) পতিত জমি আবাদযোগ্য করে তোলার জন্য উৎসাহিত করা হতো। 

(ঙ) কৃষকদেরকে রাজস্ব প্রদানের সুবিধা প্রদান করে অনাবাদি জমি চাষ করার জন্য প্রেরণা দান করা হতো। 

(চ) যে সব কৃষক নিবিড় উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদন করতো, তাদেরকে পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থা করা হতো।

রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সমস্ত ‘জমি’তে রাজস্বের পরিমান এবং তার আদায়ের পদ্ধতি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। জমির উপর রাজস্বের পরিমান ও প্রকৃতি নির্ধারিত হয় সামন্ততান্ত্রিক ভূ’স্বামীদের নির্দিষ্ট খাজনার মতোই। রাজস্ব আদায় হতো দু’রকমভাবে- (ক) রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত কর্মচারির মাধ্যমে এবং (খ) রাষ্ট্র কর্তৃক ক্ষমতাপ্রদত্ত সামন্ততান্ত্রিক ভূ’স্বামীদের মাধ্যমে। এর ফলে মধ্যযুগে বাংলায় নানা সামাজিক স্তরের মধ্যে ‘জমি’ সম্পর্কে এবং ‘ভূ’সম্পত্তি’ সম্পর্কে নানারকম ধ্যানধারণা গড়ে ওঠে। 

তৎকালে বাংলায় ‘জমি’তে রাষ্ট্রীয় মালিকানার প্রাধান্য থাকলেও দেশের মধ্যে ভূ’সম্পত্তির অপর একটি ক্ষুদ্রতর অংশ উত্তরাধিকারসূত্রে ছিল স্বাধীন অথবা সামন্ত ভূ’স্বামীদের অধীন। মোগল আমলে ভূসম্পত্তির মালিকরা নিজেরাই নির্ধারিত করে দিতেন কৃষকদের ওপর খাজনার পরিমান।

কৃষিক্ষেত্রে শ্রমবাহিনীর মূল কেন্দ্র ছিল পরিবার। বেশ কিছু পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠে পাড়া এবং বেশ কয়েকটি পাড়া নিয়ে গড়ে ওঠে গ্রাম। গ্রামসমাজের বিশিষ্ট বিশিষ্ট এবং উল্লেখযোগ্য সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় গ্রামপরিষদ। বাংলায়  প্রতিটি অঞ্চলে কয়েকটি গ্রাম ছিল- গ্রামসমাজের অন্তর্ভূক্ত। গ্রামগুলো আবার যুক্ত ছিল পরস্পরের সঙ্গে। নবম এবং দশম শতাব্দি থেকে গ্রাম সমাজগুলোর সংহত অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করার গুরুত্ব ছিল না- গুরুত্ব ছিল রাজনৈতিক শক্তিকেন্দ্র হিসাবে। এ’রকম গ্রামসমাজে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ‘জমি’ পুনর্বণ্টন করে দেয়ার রীতি চালু ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাষের অধীন ‘জমি’ চিরস্থায়ী ভিত্তিতে পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণ করে দেয়া হতো। বাংলায় উদ্ভূত যে-সব গ্রামসমাজ সমষ্টিগতভাবে অধীনস্থ পতিত জমি এবং ব্যক্তগতি সদস্যদের জমির রাজস্বের পরিমান নির্ধারণ করে দিত, তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকা ভৃত্য ও কারিগরদের তারা পোষণ করতো। এই সমাজগুলো ছিল অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল এবং প্রভাবশালী।

তৎকালে বাংলায় গ্রামসমাজে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন সমাজের মোড়ল এবং সকল রকমের সুযোগ-সুবিধার অধিকারী। তারা নানা রকম সুবিধাভোগী পদে থেকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন। এই গ্রামপরিষদের নাম ছিল গ্রামপঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত ব্যবস্থার গোড়াপত্তন ঘটে বাংলাদেষে কৃষি সভ্যতার আদি বিকাশ পর্বে- যে সময় বায়লার কৃষিজীবী মানুষেরা সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে শুরু করে। গঙ্গা-পদ্মা-মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র নদনদীর তীরবর্তী সমাজবদ্ধ এই গ্রামীণ জীবনের ভিত প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় দশ হাজার বছর আগে। অর্থাৎ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সভ্যতার সূচনাকাল থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ছিল অবিকল গ্রীকনগর রাষ্ট্রগুলোর মতো গ্রামপঞ্চায়েত। এটা ছিল একটা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলে পরিচালনা করতো স্থানীয় প্রশাসন, বিচারকাজ, জনকল্যাণ এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিবেশন থেকে নেয়া হতো। এর ফলশ্রুতি হিসাবে সকল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠেন গ্রামের মোড়লরা। গ্রামসমাজের প্রভাবশালী মোড়লরা কার্যত খুদে সামন্তপ্রভু হিসাবে রূপান্তরিত হন। এই সকল খুদে প্রভুরা তাদের ব্যক্তিগত জমি চাষ করাতেন তাদের উপর নির্ভরশীল লোকদের দিয়ে। তৎকালে বাংলায় সামন্ততান্ত্রিক শোষণের কিছু কিছু ধরন ও বৈশিষ্ট ছিল। একদিকে ছিল বেগার খাটানো প্রথা। সামন্ততান্ত্রিক ভূ’স্বামীরা প্রজাদের ন্যায়-অন্যায়ের বিচার করার ক্ষমতা রাখতেন। এই কারনে কৃষকরা ক্রমে ক্রমে ভূ’স্বামীদের হুকুমের দাস হয়ে ওঠে।

রাজনৈতিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত জটিল। একদিকে ছিল রাজায় রাজায় যুদ্ধ। অন্যদিকে ছিল সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থা সামন্ততান্ত্রিক ভবনের কেন্দ্রিভূত। এ’ছাড়াও ছিল গ্রামসমাজের মোড়লদের ক্ষমতার দাপট। তারা স্ব স্ব গ্রামের মধ্যে ভূমি রাজস্ব ধার্যের ব্যাপারে কর্তৃত্ব দেখাতেন। গ্রামসমাজের বিভিন্নপ্রকার গুরুত্বপূর্ণ কাজে এবং গ্রামের মধ্যে পতিত জমি আবাদযোগ্য করে তোলার ব্যাপারে এই খুদে সামন্ত প্রভুদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ছিল যথেষ্ঠ। মোড়লরা নিজেদের প্রয়োজনে জমিও দখল করতেন। শুধু তাই নয়- ইচ্ছেমতো গ্রামবাসীদের বেগার খাটুনিতে নিযুক্ত করতেন। কার্যত তারাই হয়ে উঠেছিলেন ছোটখাটো সামন্ত ভূ’স্বামী। এর ফলে দেখা যায় যে কৃষকরা সরকারের ভূমি দানের কারনে জমির ভূ’স্বত্বভোগীদের ওপর ক্রমান্বয়ে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ভূমির ওপর রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্ব না থাকায় জমির স্বত্বভোগীরাই হয়ে ওঠেন জমির হর্তা-কর্তা-বিধাতা।

তুর্কি আমলে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার কিছু পরিবর্তন ঘটলেও কৃষকদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দিল্লির সুলতানদের কাছে গ্রামসমাজ ছিল রাজস্ব আদায়ের সুবিধাজনক ইউনিট। গ্রামসমাজের মোড়লদেরকে অনেকটা সরকারি কর্মচারিদের মতো সম্মান দেয়া হতো এবং সরকারি কাজের স্বিকৃতি হিসাবে ছোট ছোট নিষ্কর জমি তাদের জন্যে বরাদ্দ দেয়া হতো। এর ফলে সমাজে সম্পত্তিগত একটা পার্থক্য দেখা দিলেও তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। 

এই আমলে ধীরগতিতে হলেও, উৎপাদনী শক্তিসমূহের নিয়মিত বিকাশ ঘটে। সর্বত্রই নতুন নতুন জনবসতি গড়ে ওঠে। ব্যাপক জমি চাষের আওতায় আনা হয়।

তৎকালে বাংলায় অনুকূল জলবায়ুর কারনে বছরে দু’টি ফসল উৎপাদন হতো- একটি হেমন্তের ফসল (খারিফ), অন্যটি বসন্তের ফসল (রবি)। কোথাও কোথাও উৎপাদন হতো দানা শস্য ও ধান। বাংলায় ২১টি বিভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন হতো। এছাড়াও উৎপাদন হতো নানা রকমের ডাল ও শাকসবজি, ফল, আখ এবং বিভিন্ন প্রকৃতির তেলজাতীয় বীজ।

ওই সময় গ্রামে গ্রামে গড়ে ওঠ তাঁতশিল্প, কামারশিল্প এবং কুমোর সম্প্রদায়ের হাড়িকুড়ি ও তৈজসপত্র তৈরির কারখান। গড়ে ওঠে কৃষিকাজে ব্যবহৃত লাঙল, জোয়াল, কাঠের গাড়ির চাকা এবং ঢেকিশিল্পসহ অন্যান্য কুঠির শিল্প।

এই সময় দ্রব্যসামগ্রীর মধ্যে বিনিময় ব্যবস্থা ছিল অর্থনীতির প্রচলিত প্রথা। বিভিন্ন পেশাজীবীদের কিট থেকে প্রতিট পণ্য ও উৎপন্নদ্রব্যের দামের ২.৫ শতাংশ আদায় করা হতো। 

মোগল আমলে কৃষকরা রাষ্ট্রকে খাজনা দিত ভূমি রাজস্ব হিসেবে। এই রাজস্ব বা খাজনা কৃষকরা যাতে দেয়, তা দেখার দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের। রাজস্ব হিসাবে রাষ্ট্র কৃষকদের নিকট থেকে আদায় করতো এক তৃতীয়াংশ ফসল। রাজস্বের এই প্রাপ্য অংশকে সাধারণভাবে ন্যায্য বলেই মনে করা হতো। তবুও মাঝে মাঝে কৃষকরা ওই পরিমান রাজস্ব দিতে সমর্থ ছিল না। খাজনা আদায়ের ব্যাপারটা সুনিয়ন্ত্রিত করার উদ্দেশ্যে সম্রাট আকবর একটা ফরমান জারি করে যে, তার রাজ্যের মধ্যে সকল জমি জরিপ করতে হবে। এই নির্দেশের বলে জমি জরিপের কাজ শুরু হয়। শুধু তাই নয়- খাজনা প্রদানের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা তিনি ধার্য করেন। তৈরি করেন দরবারের বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতদের নিয়ে একটা অব্দ। এই অব্দকে বলা হয় ‘বঙ্গাব্দ’।

মূলত সম্রাট আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় এই ‘বঙ্গাব্দ’টির উৎপত্তি ঘটেছে। এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। সম্রাট আকবর অর্থনীতিতেও একটা যুগান্তর এনেছিলেন। তিনি পণ্যের বদলে মূদ্রা অর্থনীতি চালু করেছিলেন রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে। এই প্রথা চালু হওয়ার ফলে কৃষকদের পক্ষে অর্থমূল্যে খাজনা দেয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। কৃষকরা তখন নিরুপায় হয়ে গ্রামসমাজের মোড়লদের সাহায্যে তাদের ক্ষেতের ফসল হাটে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতো। মূদ্রাপুঁজির মালিকদের উপর আবার নির্ভরশীল হয়ে ওঠে কৃষকরা।

বাংলায় গ্রামসমাজের মধ্যে ‘জমি’ ও ‘ভূমি’কেন্দ্রিক দু’টি সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটেছে। ‘জমি’র সঙ্গে সম্পৃক্ত আপামর কৃষকরা। কৃষকের কাজ হলে জমি চাষ করে ফসল উৎপাদন। এই চাষাভুষোরা তাদের কর্মসাধনের মাধ্যমে যে চালচলন, ব্যবহার, রীতিনীতি, আচার-আচরণ তৈরি করেছে, সেটাই হলো কৃষি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে কৃষকজীবনের দৃঃখ-কষ্ট, আনন্দউৎসব, খাদ্য, বস্ত্র, বিবাহ ও একান্নভূক্ত পরিবারের জীবনযাপন পদ্ধতি, ধর্ম, কর্ম এবং চিন্তাভাবনার প্রকাশ। কৃষকরা নতুন অব্দের প্রথম মাস বৈশাখ মাসে বাংলার প্রধান খাদ্য ফসল ধান তার জমিতে বপন করতো। জমির আংশিক অংশে বীজ বুনে দিয়ে কৃষকরা গৃহে ফিরে আসতো। পহেলা বৈশাখে রান্নাবান্নার ছিল একটা বিশেষ আয়োজন। বিভিন্নজাতীয় শাকপাতা, আলোচালের মধ্যে আম দিয়ে রান্না হতো সুস্বাদু ক্ষীর। পরিবারের মঙ্গলের জন্য এটা ছিল একটা অনুষ্ঠান। ধুমধাম পড়ে যেত সারা পাড়ায়। পিঠা, খৈ, মুড়ি, চিড়ে, দুধ, গুড়, এগুলো তৈরির জন্য ধুম পড়ে যেত।

আরেকটি সংস্কৃতি চালু ছিল। যারা ভূমির সঙ্গে এবং ব্যবসাবানিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারা নতুন বছরের পহেলা দিনে হালখাতা খুলতেন। পুরানো বছরের হিসাবের খাতা বাক্সোবন্দি করে নতুন বছরের আগমনে দোকানপাট সাজাতেন। দোকানের সামনে দুই কোণে পুততেন কলাগাছ, তার চারপাশ ঘিরে শোভা পেত রঙবেরঙের কাগজ। দোকানের দরোজায় বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকতো- ‘গানের আসর’। কোথাও কোথাও বৈশাখী মেলা বসতো। সেখানে চলতো যাত্রা-গান ও সার্কাস খেলা। চলতো পুতুলনাচ। মেলায় পাওয়া যেত রঙবেরঙের খেলনা, কৃষিযন্ত্রপাতি, তালের পাখা, বাঁশের বাঁশি, হাড়ি-কলসিসহ আরো অনেক দর্শনীয় দ্রব্যাদি। আরো পাওয়া যেত বিভিন্নরকম মিষ্টিমিঠাই। পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন রকমের আয়োজনের মধ্যে ছিল বাঙালির একটা অকৃত্রিম প্রাণের টান। 

মন্তব্য: