বীরেন মুখার্জীর সাক্ষাৎকার…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

নব্বইয়ের কালপর্বের মাঝামাঝি সময়ে কবিতার পথে তার যাত্রা শুরু। বলা যায়, কবিতার দীর্ঘ পরিক্রমণে তিনি স্বতন্ত্র কাব্যভাষা নির্মাণে ব্রতী থেকেছেন। নিভৃতচারী এই কবি বীরেন মুখার্জীর ভাবনালােক জুড়ে শুধুই কবিতা। প্রযত্ন-পরিশীলিত ভাবনায় নির্মিত তার কবিতাসম্ভার নির্মাণ-প্রকৌশলগত কারণে আলাদাভাবে চোখে পড়ে। বলা যায়, এ কালপর্বে কবিতার নিজস্ব পমথক ভাবনায় তিনি অগ্রবর্তী। ছােটকাগজ সপ্তক এর পাঠকদের জন্য নিভৃতচারী এই কবির সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন কবি হাসান সাব্বির।

সপ্তক: কোন বিষয়টি আপনাকে কবিতা লিখতে উদ্বুদ্ধ করে? কিংবা এমন কোন পরিস্থিতি আপনাকে কবিতা লিখতে বাধ্য করে?

বীরেন মুখার্জী: প্রকাশকামিতা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। যে কোন উপায়েই হােক প্রত্যেকটি মানুষ নিজেকে তুলে ধরতে চায়। নিজেকে জাহির করতে চায়। এতে দোষের কিছু নেই। এমন একটি শ্বাশত সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন চিন্তা-চেতনা নতুন আঙ্গিকে বলার তাগিদেই আমার কবিতার পথে হাঁটা। কবিতা হচ্ছে সাহিত্যের আদি ও সুক্ষতম মাধ্যম। কবিতার মাধ্যমে যা বলা যায় বােধ করি সাহিত্যের অন্য শাখাতে তা বলা সুকঠিন। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নৈরাশ্য, নৈরাজ্য, বিবর্তনসহ নানাবিধ প্রপঞ্চ আমার অন্তঃপুরে গভীর সংবেদের সৃষ্টি করে। বলা যায়, জটিল মনস্তাত্ত্বিক আন্তঃক্রিয়া সংগঠন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অণুরনন এবং একাকীত্ব আমাকে কবিতা লিখতে প্রেরণা যােগায়।

সপ্তক: একজন কবি ও একজন সাধারণ পাঠকের মধ্যে কি ধরণের সমন্বয় থাকা বাঞ্ছনীয়?

বীরেন মুখার্জী: কবিতা কী শুধু কবি তার আত্মতৃপ্তির জন্যে লিখে? আমি মােটেও তা মনে করি না। প্রথমত এমনটি মনে হতে পারে। কিন্তু পাঠকের কাছে না পৌঁছাতে পারলে কবিতা সৃষ্টির সার্থকতা কোথায়? এখানে পাঠকের গুরুত্বটা খাটো করে দেখার সুযােগ আছে কী? কবি তার লিখনির মাধ্যমে পাঠকের সঙ্গে অদৃশ্য এক বন্ধন গড়ে তােলে। কবি লিখে আনন্দ পায় গুণমুগ্ধ পাঠক কবিতা পাঠে রসাপ্লুত হয়।

সপ্তকঃ মিডিয়া কবিদের সম্মন্ধে কিছু বলবেন কি?

বীরেন মুখার্জী: আগেই বলেছি মানুষ প্রচারকামী। এই যে আমার সঙ্গে কথা বলছেন, তা আবার প্রকাশও করবেন। আমার কিন্তু ভেবেচিন্তে কথা বলতে হচ্ছে। দেখুন, আমাকে যেটুকু সম্মান করছেন হয়তাে আমার সমসাময়িক কিংবা অগ্রজদের মধ্যে কেউ কেউ সেটুকুও পাচ্ছে না। আবার সমসাময়িক কিংবা অনুজদের মধ্যে অনেকে বড় জায়গায় আছে। আসলে এটা যােগ্যতার ব্যাপার। তবে এক শ্রেণীর কবি (এদের অকবি বা উপকবি যেতে পারে) আছে যাদের সৃষ্টির চেয়ে গলার জোর অনেক বেশি। এরা যেভাবে হােক নিজেকে তুলে ধরতে নানা ফন্দি ফিকির করে। আমি ঠিক বলতে পারবাে না এদের সম্পর্কে।

সপ্তক: অর্থাৎ আপনি বলতে চাচ্ছেন কবিদেরও বিভাজন আছে, বিষয়টি একটু খােলাখুলি বলবেন কি?

বীরেন মুখাজী: যেমন আপনি যদি কিছু বলতে চান তা সৎভাবে বলবেন, বক্তব্যের সপক্ষে আপনার যুক্তি বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরবেন। এমনটি হওয়া বাঞ্ছনীয়। কবিতার সমীপে উপনীত হয়ে আপনি যা চাইবেন অর্থাৎ কবিতার কাছে মানুষ যা চাইবে তা-ই পারে। সেটা কোন সমস্যার সমাধান নয়। কবিতা সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। কবিতা সাধারণ্যে পৃহিত হলে কবিতা সর্বজনীন রূপ পায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পথে চললপ নিশ্চয়ই জীবনানন্দ, বুদ্ধদেৰ বসুরা সৃষ্টি হতো না। আবার মাইকেল না এলেও সনেট পাওয়া যেতাে না। তাহলে কোনটিকে ধরবেন বা ছাড়বেন? আসলে সাহিত্যে বােধের খেলা চলে। জীবনােপলব্ধি করতে না পারলে সাহিত্য হয় না। কবিতা বাঁক বদলের ইতিহাস ধরেই পরিপূর্ণ মাত্রায় বিকশিত। জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি। তিনি হয়তে বুঝেছিলেন কবি দূষণ অত্যাসন্ন। এখন জীবনানন্দ দাশের ধারণা সত্য বলে ধরা যায়। দুলাইন কবিতা গােছের একটা কিছু লিখলেই কি কবি অবিধা মেলে? অবশ্যই না। কবিরা ধ্যানী এবং নির্মোহ চেতনার ধারক। একজন প্রকৃত কবির দৃষ্টি সসীম থেকে অসীমের দিকে চলিষ্ণু- নিজের সৃষ্ট পথেই তারা হাঁটে। প্রকৃত কবির সৃষ্ট পথে যারা হাঁটে চিন্তা চেতনায় তারা বৃত্তাবদ্ধ। নির্দিষ্ট বৃত্তের বাইরে এদের দৃষ্টিসীমা পৌঁছে  না। এরা জীবনানন্দ বর্ণিত উপকবি। উপকবিরা মূলত অনুকারক। আর অবশিষ্টগুলাে অকবি- এরা কবিতার নামে শব্দজট তৈরি করে কবিযশােপ্রার্থী। অবশ্য অকবি ও উপকবি আছে বলেই প্রকৃত কবিকে সহজে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

সপ্তক: এবার আপনার প্রকাশনার বিষয়ে বলুন। আপনার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রণয়ের চিহ্নপর্ব আর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ প্লানচেট ভাের কিংবা মাতাল বাতাস, এই দুইয়ের মধ্যে কোনটির কাব্যিক মান আপনাকে সন্তুষ্ট করেছে।

বীরেন মুখার্জী: দেখুন, যে কোন সৃষ্টিই আমার কাছে সন্তানের মতাে সুতরাং কোনটিকে আমি আলাদা করবাে? প্রণয়ের চিহ্নপর্ব-এ যে কবিতাগুলাে আছে সেগুলাে এক স্বাদের পরের গ্রন্থটির কবিতা ভিন্ন স্বাদ-মেজাজের। উভয় গ্রন্থের কবিতাগুলাে আমি সচেতনভাবেই নির্বচন করেছি। গুণমুদ্ধ পাঠক, বিজ্ঞ আলােচক কবিতার মাননির্ণয় করতে পারেন। এটি আমার কোন বিষয় বলে মনে করি না।

সপ্তক: কবিতায় আপনি মিথ-পুরাণ ও প্রকৃতির মাঝে অপূর্ব সমন্বয় করেছেন, এটা কি আপনার সচেতন প্রয়াস?

বীরেন মুখার্জী: তা বলতে পারেন। মিথ-পুরাণ সমর্থক দুটি শব্দ হিসেবে লেখকমহলে আদৃত। ইউরােপীয় শব্দ “মিথ, আর আমাদের পুরাণ। এটা মানবজাতির স্ব স্ব ঐতিহ্যেরই অংশ। মিথ-পুরাণের মধ্যে একটি জাতির ঐতিহ্যের পরিকাঠামােটি নিবিড়ভাবে যুক্ত। পুরাণ এবং ইতিহাসও সমার্থক। প্রাচীন এই অভিযোগটি মুছে ফেলা সম্ভব নয়। আপনি বিশ্বসাহিত্যের দিকে তাকান দেখেন, আধুনিক যুগের শুরু থেকে মিথাশ্রয়ী এ ধারাটি বর্তমান সময়ের লেখকদের মধ্যেই বিস্তৃত। কবিতায় আমি মিথ-পুরাণকে ভেঙে ভেঙে নতুন অভিঘাত আর সমকালিনতার সঙ্গে যােগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করেছি। জানিনা কতদূর করতে পারছি। আর প্রকৃতি-ই তাে মানুষের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। সুতরাং এ সকল প্রপঞ্চ ব্যতিরেকে কবিতা সৃষ্টি সম্ভব?

সপ্তক: সেকেলে, আধুনিক ও উত্তরাধুনিক শব্দচয়ন বিষয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্ব লেগে যায়, পৃথক করে বলবেন কি?

বীরেন মুখার্জী:  সাহিত্য সৃষ্টি করতে হলে আপনাকে শব্দ নিয়ে অবশ্যই ভাবাতে হবে, নিরীক্ষাপ্রবণ হতে হবে। এই সময়ে কবিতা লিখতে গিয়ে আপনি যদি বঙ্কিম কিংবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতাে শব্দ প্রয়ােগ করেন তাহলে কী আপনার কবিতা সমকাল উৎরাবে? আবার যদি জীবনানন্দে বিলীন হয়ে যান তাহলেও হলাে না। আসলে আধুনিক শব্দটি সবসময়ই আধুনিক। উত্তরাধুনিক কোন শব্দ নয়, এটি চেতনামাত্র। এ নিয়ে আমার পৃথক প্রবন্ধ আছে, সময় পেলে পড়ে দেখবেন। আপনি যদি কবিতায় নতুন শব্দ প্রয়ােগ করতে চান তাহলে শব্দ নিয়েই গবেষণা করতে হবে। যে কারণে কাব্য সম্পর্কিত বিবিধ শাস্ত্রে শব্দকে শব্দব্ৰহ্ম বলা হয়েছে। আসলে শব্দের প্রায়ােগিক ধারাটি সেকেলে বলতে পারেন। সেটি আধুনিক কিংবা উত্তরাধুনিক হতে পারে। কবিদের স্ব স্ব সময়কালে তাদের কবিতায় শব্দের প্রায়ােগিক দিকটাকে খাটো করে দেখার সুযােগ নেই। সাহিত্য বিবর্তনশীল। আপনাকে বিবর্তনের ওই ধারাটিই অনুসরণ করতে হবে। আপনি যে সময়খণ্ডে কাব্যরচনায় মনােনিবেশ করলেন সে সময়ের কাব্যভাষা আয়ত্ব করতে হবে।

সপ্তকঃ সাহিত্যে দশক বিভাজন বিষয়ে আপনার অভিমত?

বীরেন মুখার্জী: আমি ব্যক্তিগতভাবে দশক বিভাজন সমর্থন করি না। দশক বিভাজন করে এক শ্রেণীর কবিযশােপ্রার্থী পুলক জোয়ারে ভাসে। আবার এক শ্রেণীর সঙ্কলক দশকিয়া সংকলন করে তৃপ্তির ঢেকুর তােলে। এদের উভয়পক্ষই সাহিত্যের জন্য ভয়ংকর। প্রথমপক্ষ কবি জাতে উঠতে পেরে আর দ্বিতীয়পক্ষ সংকলনখানা পকেটস্থ করে বাহবা কুড়ায়। আসলে এরা সকলেই ধান্ধাবাজ। এরা ঢাকা শহরে বসবাসরত কবিদেরই শুধু কবি মনে করে। শাহবাগ কেন্দ্রিক পরিচিতি না থাকলে তাদের কাছে কেউ কবি নয়। দশকবাদীদের বিশ্বাস ও আচরণের সঙ্গে তাদের প্রচারিত তথ্যের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়? আপনি খেয়াল করে দেখবেন, এরা যে মত প্রচার করে তা অন্তসারশূন্য ও বিশ্লেষণহীন। এদের আন্তরিক সততার প্রচণ্ড রকমের অভাব রয়েছে। এরা সাহিত্যের উৎকর্ষতার দিকে না গিয়ে নগদ খ্যাতিতে বিশ্বাসী। তাই, কবি ময়ুখ চৌধুরীর উদ্ধৃতি টেনে বলতে চাই “ঢাকার বাইরেও বাংলাদেশ আছে কথাটি এদের অনুর্বর মন্তিষ্কে ঢােকে না।

সপ্তক: ইদানিংকালের অর্থাৎ শূন্য দশকীয় কবিতা দেখা যায় দুর্বোধ্যতায় আক্রান্ত, এতে কি পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছে না?

বারেন মুখার্জী: আপনার ধারণাটি পুরােপুরি সমর্থনযােগ্য নয়। কবিতাকে শব্দসমষ্টি করলে আলাদা কথা। তবে, এ সময়ের অনেকেই ভালাে কবিতা লিখছেন। আপনি চন্দন চৌধুরী, কাজী নাসির মামুন, মােহাম্মদ নূরুল হক, আদিত্য অন্তর, পিয়াস মজিদ, রাহেল রাজিব, আহনারা পারভীন প্রমুখের কবিতা পড়ুন বােধ করি আমার কথার সত্যতা মিলবে। তবে এর পাশাপাশি অনেক শব্দ-ঞ্জালও কবিতা অবয়বে প্রকাশিত হচ্ছে। আসলে পাঠক বিভ্রান্ত হয় এমন কবিতা সৃষ্টি এবং প্রকাশ থেকে বিরত থাকা দরকার। তবে উত্তরাধুনিকতার ধুয়া তুলে, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব তৈরি করে এক শ্রেণীর লেখকরা কবিতার নামে সত্যিই আগাছার চাষ করছে। যা কাব্যাঙ্গনের জন্য শুভপ্রদ নয়।

সপ্তক। নতুন প্রজন্মের কবিদের উদ্দেশে আপনার উপদেশ কি?

বীরেন মুখার্জী । কবি হওয়ার সহজ রাস্তা আমার জানা নেই। মনে হয় এমন কোন রাস্তা নেই। থাকেনা। সুতরাং পড়া এবং চর্চার কোন বিকল্প দেখিনা। একজন ভালো লেখককে সর্বপ্রথম হতে হয় ভালাে পাঠক। বিশ্ব সাহিত্য থেকে শুরু করে এ সময়ের সর্বশেষ কবির কবিতাও আপনাকে পাঠ করতে হবে। কবি হতে হলে ধ্যানস্থ হতে হবে। বুঝতেই পারছেন কর্তব্য কি।

সপ্তকঃ আপনার ভবিষ্যৎ সাহিত্যকর্ম নিয়ে কোন বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি?

বীরেন মুখারজী: যতদিন প্রকৃত সত্যের মুখােমুখি না হবাে ততদিন কবিতার পথেই হাঁটতে চাই।

সপ্তক:  ইদানিং দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কবিদেরকে পুরস্কৃত করার নামে বানিজ্যিক সুবিধা ভােগ করছে, আপনি বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন?

বীরেন মুখার্জী: মানুষ ধান্ধাবাজী করে মূলত দু’টি কারণে। একটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর অন্যটি সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি। আপনি যেটা বললেন তা আমি ওইভাবে ভেবে দেখিনি। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যে খবর পাই তাতে ওইরকমটি ধারণা হওয়া স্বাভাবিক। সারা দেশেই এদের এজেন্ট রয়েছে মনে হয়। পুরস্কার পাওয়া এক ধরণের উৎসাহ বলে মনে করি। পুরস্কার প্রাপ্তি অনাবিল আনন্দ এনে দেয় একথা সত্যি তবে, কারা পুরস্কার দিচ্ছে কাকে দিচ্ছে বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। পুরস্কারদাতা এবং গ্রহীতার যােগ্যতা কতটুকু সেটিই বিবেচ্য। এ ধরণের হলে তা সাহিত্যের জন্য শুভপ্রদ নয়।

সপ্তকঃ পাঠকদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

বীরেন মুখার্জী: কবিতার দু’ধরণের পাঠকের সন্ধান পাই। একশ্রেণীর পাঠক কবিতার গঠনশৈলী, শব্দবিন্যাস, উপমা, ছন্দ খুঁজে চলে। এরা মূলত কবিতার ছুরি-ব্যবচ্ছেদ করতে ভালােবাসে। কবির যােগ্যতা যাচাইয়ে আত্মতৃপ্তি খোঁজে। এ শ্রেণীর পাঠক শিক্ষিত- পণ্ডপণ্ডিত। নিজেদের এরা বিজ্ঞজন দাবি করে। এদের আচরণ কিছুটা হলেও বিদ্বেষপূর্ণ। অন্যশ্রেণীর পাঠক কবিতার রসাম্বাদন করে। এরাও শিক্ষিত। এরা কবিত্বশক্তি আত্মস্থ করে। তবে উভয় শ্রেণীর পাঠকই কবিতার ভক্ত, এটুকুই সান্তনা।

সপ্তক: সপ্তক এর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

বীরেন মুখার্জী: আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য: