দুরন্ত বিকেল এবং আধ কাপ চা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এম মনির-উজ-জামান

না, সাহিত্যের জন্য মােটেও এটা আদর্শ স্থান নয়। আপাততঃ পরিবেশ বিবেচনায় সেটাই স্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে এখানে সাহিত্যের কিছু উপাদান পাওয়া যেতে পারে হয়তাে। প্রথম প্রথম যখন রাইফেলস স্কয়ারের পাশ দিয়ে হাঁটা পথে সিটি কলেজের দিকে যেতাম তখন বাঁয়ে লম্বা মতাে পুকুরের পাড়ে বসা যায় এমন জায়গায় অকারণে বসে থাকতে দেখতাম কিছু মানুষকে। শালাদের কাজ নেই, এমনই তাচ্ছিল্যের সাথে ওদের দিকে তাকাতাম। কিন্তু এক বিকেলে কোথায় যাই কোথায় যাই পায়ে ইবনে সিনা মেজিকেল সেন্টার বাঁয়ে রেখে লম্বা মতাে পুকুর পাড় মনে করা রাস্তা দিয়ে হাঁটছি কেবল সামনের দিকে। খানিকটা অবহেলায়। অবশেষে ভুল ভাঙলাে এবং বুঝতে পারলাম এটা আসলে ধানমণ্ডি লেক। হাজার হাজার মানুষ পাখির মতাে জোড়ায় জোড়ায় বসে আছে; এখানে সেখানে। ক্লান্ত বিকেল দেখতে দেখতে মিষ্টি বিকেল হয়ে গেল যেন। লেকের একপাশ ধরে হাঁটছি। পথ হারাবাে এই ভয়ে লাল রঙের গীর্জা না প্যাগােডা তার কাছ থেকে ফিরতে শুরু করলাম। অর্ধেকটা লেক সামনে রেখে বসে, নােট বুকটায় খসড়া কবিতার একটা রূপ দিতে গেলাম। ভাবনাটা হয়ে আসতেই নাটকীয় ভঙ্গিমায় ঘনিষ্ট হয়ে বসে পড়লাে অচেনা-অজানা এক খেয়ালী মেয়ে। অবাক হবার কথা ভুলে পরিচিত কেউ ভেবে ভুল করতে পারে এই ভাবনা থেকে মেয়েটির দিকে ফিরলাম।

– কি ব্যাপার কিছু লিখছেন মনে হয়? গল্প-টল্প? নাকি চিঠিপত্র?

-না, তেমন কিছু না বলেই নােটবুকটা পকেটে পুরে ফেললাম।

-আজকালকার আপনাদের এই কবিতা-টবিতা কিছু বুঝি না! বুঝলেন ভাই?

-সব কিছু তাে সবার বােঝার জিনিসও না।

-তা অবশ্য ঠিক।

আমি আমার বিবেকের ব্যারােমিটার-থার্মোমিটার-স্টেথােস্কোপ দিয়ে মেয়েটিকে মাপতে চেষ্টা করছি মতলবখানা কি। পার্কে তো আবার টাকা পয়সা দিয়ে ভালবাসা কিনতে পাওিয়া যায়। কি জানি সে ধারার কি না। কিন্তু ওরা তাে হয় নিশিকন্যা। দিনদুপুরে? ওভারটাইম মনে হয়। এখন হাে হাে করে হাসতে পারলে ভাল হতাে। কিছু আঁচ করার আগেই আসি বলে ফস করে উঠে গেল হঠাৎ আসা মেয়েটি। আমি বাঁচলাম কি মরলাম উদ্ধার করতে পারলাম না খুব একটা। মেয়েটির চেহারা তেমন আহামরিও না। নিতান্তই এক যুবতী। তবে বয়স হলে চেহারায় যে আলাদ ছিরি যােগ হয় সেটিই কেবল সম্বল। পথে যেতে যেতে বাজে আওয়াজ খেতে হয়না হয়তো। কোন ফয়সালা হওয়ার আগেই ফিরে যাওয়ায় ঐ দস্যি মেয়েকে সাবধানে স্টাডি করতে হলাে না। সেটাই বাঁচা।

আমার ডানে একজোড়া যুবক-যুবতী বসে হাত নেড়ে সম্প্রতি দেখা কোন সিনেমা লাল-সবুজ নাকি নাম সিনেমা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে তর্ক করছে জোরালাে কণ্ঠে। আমার হাত তিনেক বায়ে যে জুটি অবস্থান করছে নিশ্চুপ তাদের দুজনের মাঝ দিয়ে হলফ করে বলতে পারি কেউ সুতােটুকুও টেনে বের করতে পারবে না। তারা এমন ঘনিষ্ঠ হয়ে আছে পরিপার্শিকতা উপেক্ষা করেই। সামনে নিথর লেকের জল দেখা ছাড়া আমার মতাে থার্ড পারসন এর আর কিইবা করার থাকতে পারে?

বাঁ পাশের ওদের কথাই ভাবছিলাম… অমন ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে থাকা ব্যাপারটা কুৎসিৎ কি না। এমন ভাবতেই মেয়েটি আবার উদয় হলাে। হাতে আধ খাওয়া সেভেন আপ-এর বােতল।

-নিন ভাই খান। আপনার জন্য তেমন কিছুই পেলাম না।

কিছু হেঁজি-পেঁজি ধরণের লােক বেশ উৎসাহি চোখে পাশ কেটে চলে গেল। গায়ে পড়া স্বভাবের মেয়েটির ফাঁদের বলি হতে চললাম মনে হলাে। পানীয়ের বােতল বেশ আয়েশ করে খাওয়ার মাঝপথে মেয়েটি হায় হায় করে উঠলাে।

-কী ভাই আপনি একাই খাবেন দেখছি।

আমি লজ্জায় কিছু না বুঝেই মেয়েটির হাতে বােতলটি ধরিয়ে দিলাম চটজলদি।

-ও! আপনার অবশ্যি দোষ নেই তাতে। দোকানি ছেলেটা ঝাকুনি দিয়ে বােতল খুলতেই এই অবস্থা। ফস্ ফস্ করে অর্ধেকটা পড়ে গেল নিচে।

খানিকটা খেয়ে মেয়েটি বললাে-

-নিন আর একটু।

আমি বােতল নিয়ে বােতলের স্ট্র যেখানে খানিকটা লিপস্টিক লেগে আছে সেদিকে তাকিয়ে ভাবছি। আমার এক বন্ধু একবার রমনা পার্কে এমন অপরিচিতদের ফাঁদে পড়েছিল। বন্ধুটি কী ছাইপাশ খেয়ে অর্ধেক মাতাল হলে শার্ট-প্যান্ট খুলে ন্যাংটা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরে অবশ্য নিচে আন্ডারওয়ার না থাকায় করুণা করে প্যান্টটি রেখে যায়। কিন্তু সবার তাে দয়াটুকু নাও থাকতে পারে। আমার প্যান্টের নিচে আন্ডাওয়ার চেক করে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। অবশ্য তাতেই নিস্তার আছে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ অমন আধা ন্যাংটা বাবা হয়ে বিডিয়ার গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে বুটিয়ে (জুতিয়ের বুট সংস্করণ) বৃন্দাবন পাঠানেরা একটা ব্যবস্থা করে ফেলতে পারে।

-মনে হচ্ছে আপনার কারাে মুখের খাবার খেয়ে অভ্যাস নেই।

-না, তা না।

বলেই আবার চুক চুক করে বাকীটা শেষ করতে শুরু করলাম। যা হবার তা তাে হয়ে গেছে। কারণ বেশিটা তাে আগেই খেয়ে বসে আছি। সন্ধ্যার মুখে কোন অঘটন ছাড়াই দস্যি মেয়ে ফিরে গেলে আমিও চলে এলাম নিজ ডেরায়।

বেশ কয়েক মাস পর শীতের বিকেলে লেকের ধার দিয়ে হাঁটার পর ক্লান্ত হলে প্রথমবারের ঠিক উল্টো পাশে প্রায় নিঃসঙ্গ এক গাছ দেখে বসে পড়লাম তার নিচে। কবিতার খাতাটা অকারণে উল্টাতে থাকলাম। লেকের অন্য পাশ থেকে মনে হলাে কেউ আমাকে চেনার চেষ্টা করছে। সেই মেয়েটির মতই মনে হলাে। সন্দেহটা ঠিক হলাে কিছুক্ষণ পর। মেয়েটি পানির

অনেকটা কাছাকাছি এসে আমার হাত ধরতে ধরতে বললাে-

-আপনি তাে দেখছি পাগল কিসিমের মানুষ। আমাকে কী আপনার খুব বেশি প্রয়ােজন? তাে ডাকলেই তাে পারতেন।

-কেন আপনি বুঝি সাঁতার দিতেন?

বলেই হেসে ফেললাম।

-ওফ। সাতরাবাে কেন? না সাতরে কী আর ওপারে যাওয়া যায় না? নিন।

বলেই শরীর থেকে মেয়েলি শাল চারদরটি খুলে আমার হাতে ধরয়ে দিল।

-গেঞ্জি খুলে পানি নিড়ে নি; নইলে শীতে মরবেন দেখছি।

– দিন আমার হাতে।

এই ফাঁকে চাদরটি জড়িয়ে নিলাম।

-অমন ম্যানতা মেরে দাঁড়িয়ে রইলেন কেন? চলুন ওপারে সব কিছু তাে আবার ফেলে এসেছেন।

-ও তাই তাে।

-ও তাইতাে মানে কি? ভুলে গেছেন মনে হয়? আপনার হয়েছে কি বলুন তাে?

-কই তেমন কিছু না।

-না হলেই ভালাে।

ফিরে গিয়ে আমার ফেলে আসা কিছুই পাওয়া গেলনা।

-কি ব্যাপার, আপনার জিনিসগুলাে তাে কোথাও দেখছি না। কোথায় রেখেছেন?

-মনে হয় ছ্যাচড়া চোর এসে সব নিয়ে গেছে।

-আচ্ছা লােকতাে আপনি! এতাে হাসির কী হলাে? আপনার সব কিছু নিয়ে গেল, এমনকি ডায়রীটা পর্যন্ত রেখে গেল না, আর আপনি কিনা দিল খুলে হাসছেন?

-নিয়ে যাক; সব কিছু নিয়ে যাক। তাতে তেমন কোন দুঃখ নেই। কথায় আছে না কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়।

-আপনার যেমন বুদ্ধি! আপনার ধারণা চোর চুরি করতে এসে আপনার জন্য কিছু রেখে যাবে! হাসালেন দেখছি।

তাচ্ছিল্যের সাথে হেসে নিল দস্যি মেয়েটি।

-একটা কথা বলি। মানে একটা স্বপ্নের কথা আর কি।

-না, কোন স্বপ্নটপ্ন আমার শুনতে মন চায় না। ঘটনা কি আপনার কোন বন্ধুকে নিয়ে?

-না, স্বপ্নটা ছিল আমার। আপনাকে যেবার প্রথম দেখলাম স্বপ্নটা তার পরের ছিল। আপনাকে নিয়েই ছিল স্বপ্নটা। কী ব্যাপার হাসছেন যে?

-বাঃ একটা মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন আর হাসলেই যত দোষ।

-এটা তাে দিবা স্বপ্ন না। এটা ছিল একেবারে ঘুমের ভেতর। ইচ্ছে হলেই আমি স্বপ্নটা না দেখে থাকতে পারতাম না। এক্ষেত্রে বলির পাঠার স্থানে আমাকে স্বপ্নের পাঠা বলতে পারেন।

-ঠিক আছে স্বপ্নটা কী হতে পারে আমিই বলে দিচ্ছি। আপনি সৈকতে একা হাঁটছিলেন আর আমি সাগরের ঢেউ ভেঙ্গে ভেঙ্গে রিনি-ঝিনি পায়ে আপনার দিকেই আসছিলাম।

বলেই খুক খুক করে খানিক হেসে নিল মেয়েটি। এমন আচরণে আমার তখন বেহাল দশা। মুখে কিছু না বলে নিঃশব্দে হেঁটে চলেছি স্বপ্নটা বলার দরকার নেই এমন পণ করে।

-ঠিক বলিনি না? তাহলে বলছি, এক জোছনা রাত। যাকে বলে একেবারে মােমগলা জোছনা। আপনি নৌকা চালাচ্ছেন। নদীতে প্রচণ্ড স্রাোত। আমি একা অন্য প্রান্তে বসে আছি। নদীতে স্রোত থাকায় আপনি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বৈঠা রেখে আমার কাছে আসতে পারছেন না। আর আমি আপনার কাছে যেতে পারছি না কারণ লজ্জা। কিন্তু দু’জনার মনই উথাল পাথাল অবস্থা।

-তারপর মনের সুখে খানিক হেসে নিল গুণ্ডা মেয়েটি। যাচ্ছে তাই কাণ্ড।

-কী ব্যাপার টাসকি মেরে গেলেন দেখছি? বলে ফেলেন; স্বপ্নে কী হাতি ঘােড়া দেখলেন।

-বলুন মন দিয়েই শুনছি। কোন ঝামেলা পাকাচ্ছি না। অশ্লীল হলেও বলুন। দু’জনই একসাথে হেসে ফেললাম সহজ হওয়ার জন্য। ছােট্ট বিরতির পর শুরু করলাম। একটি পুরনাে কথা নতুন করে।

-অসীম এক বিকেল।

-অসীম বিকেলটা আবার কি?

-তাইতাে। ধরুন মানে, যে বিকেল শেষ হয় না। আসলে বিকেল তাে এক সময় শেষ হয়ই। তার রেশটা থেকে যায় আর কি। এমনই এক বিকেল আমি আপনার বাসায় গিয়ে হাজির হলাম কোন নােটিশ ছাড়াই যাকে বলে।

-ঠিকানা পেলেন কোথায়?

-বাঃ স্বপ্নেও কী ঠিকানার প্রয়ােজন আছে?

-ওঃ তাইতাে।

-তাে আমি যখন গেলাম আপনি এমন ভাব করলেন যেন সে সময় আমার যাওয়ারই কথা ছিল।

-সেটা কি করে বুঝলেন?

-আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন; এতা দেরি করলেন যে?

ও আচ্ছা তারপর?

-একটা রুমে আমাকে নিয়ে বসালেন। বিকেলে চা চলে কিনা জেনে নিলেন। অথচ কী আশ্চর্য যখন নাস্তাসহ রুমে আসলেন আপনার হাতে মাত্র এক কাপ চা। যেটা চুমুক দিতে দিতেই আপনি আসছিলেন।

-হ্যা তাতে আশ্চর্য হবার কী আছে?

-বাঃ আশ্চর্য হবাে না। চা খাই বলার পরও চা পাবাে না। এটা কি হবার মতাে কিছু না?

-কিন্তু এক কাপ চাও তাে বেশ দু’জনে খাওয়া যায়।

-হ্যা, ঠিকই বলেছেন। চৌরঙ্গী মােড়ের লেখক জোটের দোতলায় আমরা অনেক বন্ধুরা মিলে যখন চা খাই তখন বন্ধুদের সংখ্যা বাড়তি হলে আমরা এক কাপ চা দুজনে মিলে খাই অনেক সময়। একজন কাপে অন্যজন পিরিচে।

-আহ্হা পিরিচে খেতে হবে কেন? আপনার সাথে কি আমার সেই সম্পর্ক? কেন আমি এক চুমুক আপনি এক চুমুক এভাবেই তা এক কাপ চা খাওয়া যায় বেশ ভালভাবে।

তারপর মিস কিংবা মিসেস ঘসেটি আমার গলার কাছে চাদরটি শার্টের কলারের মত চেপে ধরে মুখের অনেকটা কাছে মুখ এনে পরম তাচ্ছিল্যের সাথে বললাে,

-শুনুন স্বপ্ন দেখা আমার একদম পছন্দ না। আর কোনদিন স্বপ্ন-টপ্ন দেখবেন না। মনে রাখবেন। অতি যত্ন করেই মনে রাখবেন।

বলেই অহংকারী পায়ে ফিরে গেল মেয়েটি। চেনা পথও বড় বেশি অচেনা মনে হতে লাগল ফিরতি পথে। রাইফেলস স্কোয়ারের কাছে আসতেই মনে হলাে এমনভাবে ফেরা বেশ ঝুকিপূর্ণ। পা খালি। ভেঁজা প্যান্ট। মেয়েলি চাদরে ঢাকা শরীর। বিডিআর ৪ নং গেটে কোন বেহুদা ঘটনার গিনিপিগ হতে মন চাইলাে না। বুদ্ধি করে রিক্সায় চেপে বসলাম। গেটের আরপি হাত উঁচু করে রিক্সা থামাতে যেতেই একটু চালাকি করে বেশ একটা সালাম একে বললাম, আংকেল ভেতরে বাসা আছে। চলে যান সূচক হাতের ইশারা পেয়েই রিক্সাওয়ালা গতি বাড়িয়ে দিল তার নিজ খেয়ালে। রেকর্ড উইং এর ভেতর গলে একটু এগুতেই বায়ে একটা পুকুর পেয়েই দেমাগী মেয়েটির শাল চাদরটি ছুঁড়ে ফেলে দিলাম পানিতে। চারদিকে তখন শীতের দাপট। পুকুরের দিক থেকে আসা বাতাসে সমস্ত শরীর হিম হয়ে গেল। প্রচণ্ড শীত উপক্ষা করে ভেতর থেকে। এক তৃষ্ণা জেগে উঠতে লাগলাে ক্রমশঃ। তারপর সেই চায়ের তেষ্টা। পােল্ট্রি ফার্ম সামনে পেয়েই রিক্সা বায়ে মােড় নিল। কিছুটা একে বেঁকে যমুনা পরেই পদ্মা বিল্ডিং। অবশেষে সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে চতুর্থ তলা। পােষাকি ভাষায় যাকে বলে থার্ড ফ্লোর। যত ওপরে উঠছি তৃষ্ণাটা যেন ততই বেড়ে চলেছে জ্যামিতিক হারে।

পয়সা হলে অবশ্য এক কাপ চা ঢাকা শহরের যে কোন জায়গায় যে কোন সময় পাওয়া মামুলি ব্যাপার। কিন্তু আধ কাপ চা? ঢাকায়? পুরােদেশে? মনে হয় না।

অবশ্য একালের ঘসেটি তার ফেরার পথে একটু নিচু গলায়, এই যে ভাই, নাম ঠিকানা জানা হলাে না; তা থাক। এই যে শুনুন, আসবেন কিন্তু এক দুরন্ত বিকেলে। দুরন্ত বিকেলের অর্থ জানা হয়নি আমার, তাতে কী আছে?

-আসবেন কিন্তু, মাত্র তাে আধ কাপ চা…

মন্তব্য: