বীরেন মুখার্জীর কবিতা ও বােধের অন্তরবৃত্তিয় কথন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এমরান হাসান

বীরেন মুখাজী নব্বই কালপর্বের একজন ব্রতী-ব্রাত্য কবি। নিভৃতে-নির্জনে সার্বক্ষণিক কবিতায় নিয়ােজিত এই কবি তাঁর বােধ-অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত, নির্মিত কবিতা দিয়ে নিজস্ব পৃথক ঘরাণার কাব্যভুবন তৈরি করেছেন। কবিতা মূল্যায়নের দিকগুলাে বিবেচনায় রেখে বলা যায়, কবিতার অঘােষিত যুদ্ধক্ষেত্রে নামবার পূর্বে একজন কবিকে অতিমাত্রায় সচেতন এবং তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হতে হয় যা গত শতাব্দীর ১৯৭১ পরবর্তী কবিতাবলীতে স্পষ্ট হয়ে রয়েছে। সত্তর দশকের আনন্দিত, আন্দোলিত কাব্যধারার পর আশির দশকের

কবিরা একাডেমিক কবিতার পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য হয়েছেন। বােধ করি, নব্বই়ের শুরুর দিকে এই উপাদেয় (!) উপাদানটি আরাে বেগবান হয়ে দেখা দিয়েছিলাে। তারপরও স্বীকার করতে হবে তিরিশের দশকের জীবনানন্দিক প্রভাব এড়াতে পারেননি নব্বই দশকের কবিরা। ফলে বােধ, চেতনার সঙ্গমে কবিতা বারংবার নিজেই সংজ্ঞারয়িত হয়ে উঠছে কবিদের হাতে। নব্বই কালপর্বের কবিরা তাদের কবিতা নির্মাণ() করার যে প্রয়াস দেখিয়েছেন আজ একবিংশ শতকে তা কতটুকু সফলতা কিংবা ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে

তার বিচারক স্বয়ং মহাকাল। এ দশকের অনেক কবি-ই বাংলা কবিতার গতানুগতিক সড়ক ধরে হেঁটেছেন। এর ভেতরে কোন কোন কবি লিখনশৈলী দিয়ে কবিতার প্রচল এ ধারা থেকে নিজস্ব পৃথক হয়ে উঠেছেন। প্রাগুক্ত চেতনার অগ্রপথিক কবি বীরেন মুখার্জীর কবিতার গতি-প্রকৃতি, বিবর্তন, ব্যঞ্জনার তীক্ষ্ণতা, উপমার ব্যবহার, চিত্রকল্পের সার্থক প্রয়ােগ এ স্বাক্ষ্য নিয়ে হাজির হয়। কবি বাংলা কবিতার ঋণ পুরােপুরি স্বীকার করেছেন কাব্যভাষার মাধ্যমে। সময় আর সভ্যতার দায় থেকে নয়, জীবন আর মানবিক আর্তি কবির প্রতিটি কবিতাকে করেছে সৌকর্যমণ্ডিত। তার প্রণয়ের চিহ্নপর্ব ও প্লানচেট ভাের কিংবা মাতাল বাতাস’ কাব্যগ্রন্থ এ সত্য নিয়েই পাঠকের সামনে হাজির হয়। ‘মানুষের জন্য শিল্প’ বিবর্তিত এ সত্যকে সামনে রেখে রচিত বীরেন মুখার্জীর কবিতায় জীবন যাপনের তীব্র দহন স্পষ্ট হয়ে ওঠে

কে যেনাে গােপনে ফোটায় অজস্র ফুল- পথে পথে;

লিখিয়ে নিতে কবিতার উপমা- রােদ্দুরের গল্প

রঙে রূপে বারবার মৃত্তিকার পথ থেকে নিয়ে যায়

ভুগােলের ম্যাপে, সবুজ বিছিয়ে রাখা স্বপ্ন উঠোন

জলজ শরীর তবু পাঠহীন আর্তনাদে গােপন মাখে

একা….

(গােপন কবিতা/ প্লানচেট ভাের কিংবা মাতাল বাতাস)

জবনানন্দ দাশের বােধ কবিতার সঙ্গে চেতনাগত পার্থক্য থাকলেও সত্যিকার বােধকে আগ্রয় করেই নির্মিত কবির উপরােক্ত কবিতার অংশবিশেষটি। সময় আর সভ্যতার শােষণে বাংলা কবিতার জগতে যে ‘নষ্টকাল’ অতিবাহিত হচ্ছে বর্তমানে, কবি সে নষ্টকালের রাতে দণ্ডায়মান আশার জ্বলন্ত মশাল হাতে দাঁড়িয়েছেন। কবিতা আর কবির মনন যদি পথে হাঁটে হলফ করেই বলা যায়, সত্যিকারের কবিতা সৃষ্টির সম্ভাবনা সেখানে একেবারেই অনুপস্থিত থাকে। বাংলাদেশের কাব্য জগতে আশির দশকের কবিরা পশ্চিমবঙ্গীয় ধাঁচ অনুসরণ করে তাদের সময়ের গতিপথ পরিবর্তনে সােচ্চার হয়েছিলেন যার ফলে আশির দশক থেকে বাংলা কবিতায় যে পশ্চাৎমুখীনতা স্পষ্ট হয় তা নব্বইয়ের দশক পেরিয়ে বর্তমান সময়ের কবিতায়-ও বহমান রয়েছে। তবে পাশাপাশি কথাও সত্য যে, প্রতি দশকেই তৈরি হচ্ছে সত্যিকারের কবিতা এবং যার স্রষ্টারা যথারীতি নিভৃতে থেকেই কবিতা চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কবিতার গতি-প্রকৃতি পরিবর্তনের নেপথ্যে যে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা চলে সেটি হচ্ছে, চিন্তাধারার পরিবর্তন। বাস্তব, পরাবান্তব কিংবা বিমুর্তবাদীতার এই মঞ্চে বাংলাদেশের কবিতা কোন পক্ষ সমর্থন করে বর্তমানে? সরাসরি উত্তর বিমূর্তবাদীতা। এখানে লক্ষ্যণীয়-

তবে কে আসে প্রশ্নবােধক অর্থে?

দৃশ্যের ভেতর অচেনা অবয়ব

কীসের সংগীতধ্বনি শােনে উৎসুক জনতা!

এবং তখনও শূন্যতার ভেতর তুমি আর আমি

পাহারায় জাগি, উন্মত্ত স্রোতে ভেসে ভেসে

পূর্বপুরুষের আদিম শীৎকার উৎসবে:

(মৃত রােদে পােড়ে পড়শি বাতাস/ প্লানচেট ভাের কিংবা মাতাল বাতাস)

সত্যিকার অর্থেই সময় আর সভ্যতার শ্রেণিবদ্ধতায় কবি ডুবে যান স্বরচিত মগ্নতায় যার উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আবার সৃষ্টি হয় কবিতা। বােধ আর চেতনার মঞ্চে এভাবেই খেলা চলে শব্দ আর তন্দ্রাচ্ছন্নতার। শব্দের মজবুত গাঁথুনিতে তার কবিতা হয়ে ওঠে গভীর দ্যোতনা সৃষ্টিকারী এবং প্রাতিস্বিক। কবি বীরেন মুখার্জীর সময়ােপযােগী কাব্যভাবনাকে অস্বীকার করার কোনাে উপায় নেই। কেননা, কবিতার জন্য ছন্দ ব্যবহার আবশ্যক নয় কিন্তু আবশ্যক হচ্ছে চিত্রকল্পের সার্থক ব্যবহার। কবিতায় বিমূর্তবাদীতার তুলিতে নৈসর্গিক চিত্রকল্প তৈরিতেও তিনি সমান পারঙ্গম। সার্থক চিত্রকল্পের ব্যবহারে তার কবিতাকে করেছে অনবদ্য- অপরূপ, লাবণ্যময়।

কবিরা তার ব্যক্তিক জীবনকে আড়াল করে সৃষ্টি করতে পারে না কবিতা। মূর্ত কিংবা বিমূর্ত যা-ই হােক, প্রত্যক্ষ কিংবা পরােক্ষ ভাবে উঠে আসে কবির ব্যক্তিক জীবন কোনো না কোনাে ভাবে তার-ই নির্মিত কবিতায়। এ সবের ব্যতিক্রম নন বীরেন মুখার্জী। কবিতায় ব্যক্তিজীবনকে তিনি সরাসরি উপস্থাপন না করে চিত্রিত করেন ভিন্নতর দৃষ্টি আর ব্যঞ্জনাময় স্বকীয় প্রকরণে। নিজস্ব ব্যর্থতার স্বপক্ষে তার স্বীকারােক্তি-

পরিবর্তিত জীবিকার দৃশ্য-বিন্যাসে আমার ইচ্ছেরা আজ নিষ্প্রভ 

করতলে ছোঁয়া হয়নি একটিও সবুজ বিকেল..

পিতা, পারিনি কিছুই.৩ুধু উত্তরাধিকারের নিয়মে

আলিম একটি ভ্রুণ রেখে যাচ্ছি তােমার ইচ্ছার বেদীতে।

(আমার পিতার উদ্দেশ্যে প্লানচেট ভাের কিংবা মাতাল বাতাস)

কবিতায় মেটাসাইকোলজিক্যাল ফ্রেম সৃষ্টি করে ভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরির প্রয়াসে ব্রতী হয়েছেন কবি। কবিতার নিজস্ব সত্ত্বাকে ভেঙে পৃথক সত্ত্বা তৈরির দুঃসাধ্য কর্মে তিনি সফল হয়েছেন। তাঁর কবিতা বিশ্ব চরাচরের বিবিধ প্রপঞ্চকে আহরিত। বীরেন মুখার্জী দেখাতে সক্ষম হয়েছেন কবিতা নির্মাণ আর বাধ-চেতনা-অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত করিতার সুস্পষ্ট পার্থক্য। মুক্তক ছন্দে লিখিত তাঁর প্রত্যকটি কবিতাতে একটি নিটোল গল্প থাকে। তার কবিতা পাঠে আমরা চমৎকার সব দৃশ্যকাব্যের মুখােমুখি হই। তাঁর কাব্যভাবনা নগর সভ্যতা থেকে শুরু করে মাটিবর্তী পেলবতায় ঋদ্ধ। কবি বীরেন মুখার্জী তাঁর মেধা মননশীলতা আর চেতনার মিশ্রণেই বৃত্ত কিংবা ব্যাসার্ধের পরিমাপ করার প্রয়াস পায়েছেন। তারপরও কবিতায় গুঢ়তাত্ত্বিক মনােবৃত্তি কিংবা সত্যিকারের অন্তর্লোকগত সৃষ্টির ঔজ্জ্ল্যতায় ব্যতিক্রম এই কবি। মানব মন্তাত্ত্বিকতা আর বিপন্ন দ্বন্দ্ব-বিরােধের তীরে দাঁড়িয়ে তিনি ব্যক্ত করেন তাঁর শৈল্পিক বক্তব্য-

হাতের তালুতে ভিজে যায় নদী

খুলে পড়ে জীবনের শেষ আহ্লাদ

চেলে দেয়া নিঃশ্বাসের বিষ শুষে নিতে

সেই ভাল গেয়ে যাই মহাশশ্মনের গান;

ফিরে ফিরে যদি আসে মাতাল বাতাস।”

(প্লানচেট ভাের কিংবা মাতাল বাতাস)

নব্বই দশকের প্রথমদিকে বাংলা কবিতার তীব্র বাঁক বদল পরিলক্ষিত হয় যাকে কবিতার ভূমন্ডলে পােস্ট মর্ডানিজম’ বলে আখ্যায়িত করেন সমকালীন কাব্যবােদ্ধাগণ। নব্বইয়ের কবিতায় বিমুর্তবাদ কিংবা জীবনানন্দিক ভাবনার ছাপচিত্র প্রায় পুরােপুরি বিদ্যমান থাকলেও এ দশকের কবিরা তার সফল প্রয়ােগ ঘটাতে পারেননি অনেকাংশে। অন্যদিকে নব্বইয়ের কবিরা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল পথে অগ্রসর হয়েছেন তাদের কবিতা নিয়ে। তারপরও কয়েকজনের কবিতা বাংলা সাহিত্যের উঠোনে আশার আলাে জ্বালাতে সক্ষম হয়েছে এই দশকে। কবি বীরেন মুখার্জী তাদেরই একজন। তার কবিতার ভেতরে মানবীয় টানাপােড়েন, সামাজিক মূল্যবােধহীনতার পাশাপাশি প্রেম-বিরহ-দ্রোহের প্রচন্ড প্রভাব বিদ্যমান। কবির কবিতার পংক্তিমালায় প্রেম তীব্রতর হতে না হতেই আবারাে বাস্তবতার দিকে মােড় নেয় সহজিয়া ভঙ্গিমায়। এর একটি উদাহরণ এরূপ-

মৃত্তিকার পৃথিবীতে যে ভুলগুলাে স্পষ্ট হয়

যৌগিক আঁধার পেরিয়ে তারই বৃত্তে খুঁজি ফেরারি সঙ্গীত

আগুনমুখাে জোয়ারে যদি খুন হয় আততায়ী রাত

উৎসবমুখরতায় আমিও ফিরে যাবাে, যাযাবর পাখি একদিন!

(অসম্পূর্ণ গন্তব্যের পথে/ প্রণয়ের চিহ্নপর্ব)

কবিতার পঙ্ক্তিতে পঙক্তিতে প্রেমের ভাবধারায় মখমল রােদ্দুর ভাঙতে চান কবি। তার প্রেমের প্রকাশ ভঙ্গিমা অন্যদের থেকে আলাদা। প্রেমের পরিশেষে দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়ে দেবার ইচ্ছে থেকেই তিনি কবিতার ভাবনায় বিশাল শৌকর্যের উদাহরণ দিয়েছেন। আবার তিনিই বিষন্নতার করিডােরে হাঁটতে থাকেন উদ্দেশ্যহীন। লােকালয়ে থেকেও যেনাে বহুযােজন দুরে বসতি তার। রােদের কোনাে মানচিত্র নেই শিরােনামের কবিতায় বীরেন মুখার্জী নিজের সাথেই বােঝাপড়া করেন একান্তে। তার প্রকাশ ভঙ্গিমা এরকম-

এই শব্দহীন ভাষা কোনােদিন ঘর না পেলে

পরিব্রাজক পথে যাবাে। আমার কোনাে ঘর নেই

যেমন রােদের থাকেনা মানচিত্র কোনােদিন

…….

কোমার কাছে যাবাে বলে ভুমিহীন থাকা

ভালােবাসা বুকের মাঝে কষ্টে হাসে একা।

(রোদের কোনাে মানচিত্র নেই প্রণয়ের চিহ্নপর্ব)

কবিতার ভেতরে যারা নিজেদের মেলাতে পারেন কিংবা যারা কবিতার গতি-প্রকৃতি লক্ষ্য করে বদলাতে পারেন সৃষ্টিভঙ্গিমা হয়তাে তাদের কবিতা মস্তিষ্কে স্নায়ুবিক বিদ্রোহ সৃষ্টি করে সহজভাবে। বীরেন মুখার্জী তার কবিতার ভেতরে স্নায়ুবিক অস্থিরতা, দ্রোহ সষ্টি করাতে সক্ষম হয়েছেন একথা বলা যায় নিঃসঙ্কোচে। পরিবর্তন শিরােনামের কবিতায় দ্বিতীয় স্তবকে কবি বীরেন মুখার্জী এরকমই ভাবধারা প্রকাশ করেন এভাবে ‘দূরত্ববহতায় জলবায়ুকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে মানুষের মন/প্রতিনিয়ত পাল্টে যেতে থাকে তারা, রঙ বদল হ়য় চোখের তারায়/অদূরবর্তী স্বপ্নের ছায়ারা কাপে যুবতী সর্ষে ক্ষেতে…।

শব্দের ভেতর অনায়াস খেলতে পারেন কবি বীরেন মুখার্জী। তার কবিতায় ভাবনার গভীরতা থাকলেও শব্দের কারুকাজে রয়েছে প্রচন্ড রকমের গতিময়তা। নিজের ব্যর্থতাকে লুকিয়ে তার কবিতায় চলে এসেছে একান্ত ইচ্ছেগুলাে। তিনি কবিতার ভেতরে প্রত্যাশা

করেন এরকম-

বৃক্ষ জন্ম হােক আমার; শীত, বর্ষা কিংবা অন্য কোনাে খাতুতে

পাখি জন্ম হােক আমার; শরৎ, হেমন্ত কিংবা অন্য কোনাে আকাশে।

বৃক্ষ কিংবা পাখি জন্ম হােক আমার শিরােনামের এই কবিতাটির উপরােক্ত পংক্তি দিয়েই কবি বীরেন মুখার্জী বেঁচে থাকবেন দীর্ঘদিন এ প্রত্যাশা অমূলক নয়। গােপন কিছু ছবিচিত্র কবিতায় অপ্রকাশিত রাখতে চাইলেও কোনাে কবি শেষতক তা রাখতে পারেন না। বীরেন মুখার্জী তার কবিতার ভেতরে বােধ আর নিজস্ব পরিমন্ডলের আদলে এসবই প্রকাশ করেন সাবলীলভাবে। তার কবিতার এ অংশই এ কথার সত্যতা প্রমাণ করে-

পথে পথে কর্মই মানুষের আজীবন সঙ্গী থাকে

জেনেছি, কর্মই রচনা করে আলাে-আঁধারের পটভূমি

আমার যা কিছু আলাে, যা কিছু আঁধার

উদাসীন শুয়ে তাকে স্মৃতির ম্যাপে;

(আমার আলাে, আমার আঁধার/ প্রণয়ের চিহ্নপর্ব)

ভালােবাসা, বােধ, চিন্তা-চেতনা কিংবা সামাজিক অবক্ষয়ের উর্দ্ধে নন কেউ। কাবিরা সাবলীলতার চেয়ে নিজস্ব প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে ভালােবাসেন নিজেকে। বীরেন মুখার্জী তার প্রণয়ের চিহ্নপর্ব কাব্যগ্রন্থে সূচিবদ্ধ কবিতাগুলাের কোনাে কোনাে স্তবকে নিজেকে যেমন প্রকাশ করতে গিয়েও পারেননি আবার কোনাে কোনাে স্তবকে তিনি নিজেকে লুকোতেও পারেননি। বলা যায়, সমস্ত অংশেই তিনি নিজস্ব সত্তায় বিদ্যমান, যেমন-প্রকৃতির মাঝে বিদ্যমান, বিরাজমান ঈশ্বর। কবি বীরেন মুখার্জী তার কবিতার ভজনালয়ে সে রকম ঈশ্বর হয়ে ওঠার প্রত্যয়ে সৃষ্টি করে চলেছেন অমর পঙ্ক্তিগুচ্ছ।

মন্তব্য: