১৯৪৭ সালের ৪ আগস্ট ফরিদপুর জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামের মাতুলালয়ে কবি আবুল হাসান জন্মগ্রহন করেন। নাম আবুল হােসেন মিয়া। ডাক নাম ছিল টুকু। নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় থেকেই আবুল হাসান কবিতা লিখতে শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে আবুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হলেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার্জন সম্পন্ন করেন নি। ১৯৬৯ সালের প্রথমদিকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় বার্তা বিভাগে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৭২ সালে গণবাংলা পত্রিকায় যােগ দেন। ১৯৭৩ সালে জনপদ ও ১৯৭৪ সালে গণকণ্ঠ পত্রিকায়। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা’ (১৯৭০) গ্রন্থে পাকিস্তানের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে আবুল হাসানের কবিতা স্থান পায়। আবুল হাসানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাজা যায় রাজা আসে প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ যে তুমি হরণ করো ও পৃথক পালঙ্ক প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে। ১৯৮৫ সালে তার অগ্রন্থিত কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয় আবুল হাসানের অগ্রন্থিত কবিতা। ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় আবুল হাসান গল্পসংগ্রহ। কবিতা-গল্প ছাড়াও আবুল হাসান প্রবন্ধ ও নাটক রচনা করেন। শৈশব থেকেই আবুল হাসান বাত-জ্বারে ভুগছিলেন। সুচিকিৎসার অভাবে অল্প বয়সেই হৃদরােগে আক্রান্ত হন। তারপরও তিনি অনিয়ান্ত্রিত জীবনযাপন করেন। ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর মাত্র আটাশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার ও ১৯৮২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। মাত্র দশ বছরের সাহিত্য-সাধনায় ঐশ্বর্যময় সৃষ্টিসম্ভার রেখে গেছেন কবি আবুল হাসান।