রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টেবর বাগেরহাট জেলাধীন মংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৪ সালে এস এস সি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে বাংলায় বি এ সম্মান এবং ১৯৮৩ সালে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। আশির
দশকে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে শ্রোতাদের অনেক প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সে মাঠে আজ বসে নেশার হাট, বাতাসে লাশের গন্ধ রুদ্রর ভীষণ জনপ্রিয় দু’টি কবিতা। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্ববােধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা তাঁর কবিতার উপজীব্য বিষয়। এছাড়া স্বৈরাচার বিরােধী আন্দোলনেও তার জোরালাে ভুমিকা ছিল। তারুণ্য ও সংগ্রামের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ মাত্র ৩৪ বছরের আয়ু লাভ করেছিলেন। সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি কবিতা
ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং অর্ধশতাধিক গান রচনা করেছেন ও সুরারােপ করেছেন। ১৯৮১ সালের ২৯ জানুয়ারি নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে বিবাহ করেন। ১৯৮৮ সালে তাদের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে। ১৯৯১ সালের ২১ জুন রুদ্র ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার উল্লেখযােগ্য কাব্যগ্রন্থ- উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯), ফিরে পাই স্বর্গ্রাম (১৯৮২), মানুষের মানচিত্র (১৯৮৪), ছােবল (১৯৮৬), গল্প (১৯৮৭), দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮) ও মৌলিক মুখােশ (১৯৯০)। ছােটগল্প-সােনালী শিশির এবং নাট্যকাব্য বিষ বিরিক্ষের বীজ। তিনি ১৯৮০ সালে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।