মোদ্দা মিঞার কান্নার চারিদিক
ঝিল পাড়ের লাল চিল উড়ে-মোদ্দা মিঞার মাথার ঠিক উপরে।
সামনে-বিফল চাষের ক্ষেত জুড়ে সর্বনাশা ইঁদুর ফতুর বিনাশী।
পিছনে-গৃহবন্দি লাঙলের ফলায় ক্ষুধার্ত আর্তনাদ হাঁটুমুড়ে বসে।
ডানে-আকাশের বাদামী মেঘের দল খিল-খিল শব্দে হেসে ওঠে।
বামে-মোদ্দা মিঞার মর্দামী শুধু বোকাসোকা যমজবলদের পিঠে।
লাল চিলের নেশাভরা চোখ মৃদুজ্বলে মৃদুনিভে-মাঝে রক্ত খোঁজে;
রক্তবৃষ্টিতে ফসল ভিজানোর প্রার্থনায়-ভিজে দাদনের কাবিননামা,
তবু কেন হারিয়ে যাচ্ছে ফসলের মাঠ-ধূ ধূ মরীচিকার দীর্ঘশ্বাসে।
কোথায় লুকালো সবুজের পাল-ইটভাটার চিমনিতে ধোয়া ফুটছে
মাটি সওদাগারের টিলাপেটের ঘুপ্চি গলিতে সর্বনাশা সুদ ফুসছে।
চারিদিক সবুজের দৃশ্যপতন আর্তনাদ দেখে মোদ্দা মিঞা কাঁদছে।
উন্মুক্ত আঙিনার কীর্তন
মুণ্ডামনের চোয়ালে স্বপ্নের ঝাড়-ফুঁক হোক না আদিমতম বুনোবিশ্বাস।
চারিদিক যখন বিশ্বাসন্ন না থাকায় মুণ্ডামন উপোস-
কোথায় গৃহদেবতা বোঙ্গা;
কোথায় দোসাদ দেবতার চন্দ্রগ্রহণ?
এখনো দমির গতরে লাগেনি মৈত্রিমঙ্গল
তবুও বিশ্বাসের বিস্ময়েই জুমপাহাড়ের ঊরুতে বেজে যাচ্ছে পার্বণবাদ্য।
যুগ-যুগের আদিপথ থেকেই নৃ-মৃত্ত্বিকাসিক্ত মুণ্ডামনের কীর্তন-
কখনোই
ঢুকতে পারেনি; সকালের কুসুমকুসুম আলোনগরের স্বপ্নসঙ্গমে।
যেম্মায় নৃ-তাত্ত্বিক শরণার্থীর আগমন, তখনই আমতা আমতা স্বীকারঠাট্টা।
ঠাট্টার মাট্টা দেখে-মু-ামনের সাদাসিধা চিৎকার যেম্মায় থেমে যায়-
ছিদাকলার উন্মুক্ত আঙিনায়।