মিজানুর রহমান বেলাল এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

মোদ্দা মিঞার কান্নার চারিদিক

ঝিল পাড়ের লাল চিল উড়ে-মোদ্দা মিঞার মাথার ঠিক উপরে।

সামনে-বিফল চাষের ক্ষেত জুড়ে সর্বনাশা ইঁদুর ফতুর বিনাশী।

পিছনে-গৃহবন্দি লাঙলের ফলায় ক্ষুধার্ত আর্তনাদ হাঁটুমুড়ে বসে।

ডানে-আকাশের বাদামী মেঘের দল খিল-খিল শব্দে হেসে ওঠে।

বামে-মোদ্দা মিঞার মর্দামী শুধু বোকাসোকা যমজবলদের পিঠে।

লাল চিলের নেশাভরা চোখ মৃদুজ্বলে মৃদুনিভে-মাঝে রক্ত খোঁজে;

রক্তবৃষ্টিতে ফসল ভিজানোর প্রার্থনায়-ভিজে দাদনের কাবিননামা,

তবু কেন হারিয়ে যাচ্ছে ফসলের মাঠ-ধূ ধূ মরীচিকার দীর্ঘশ্বাসে।

কোথায় লুকালো সবুজের পাল-ইটভাটার চিমনিতে ধোয়া ফুটছে

মাটি সওদাগারের টিলাপেটের ঘুপ্চি গলিতে সর্বনাশা সুদ ফুসছে।

চারিদিক সবুজের দৃশ্যপতন আর্তনাদ দেখে মোদ্দা মিঞা কাঁদছে।  

উন্মুক্ত আঙিনার কীর্তন

মুণ্ডামনের চোয়ালে স্বপ্নের ঝাড়-ফুঁক হোক না আদিমতম বুনোবিশ্বাস।

চারিদিক যখন বিশ্বাসন্ন না থাকায় মুণ্ডামন উপোস-

                           কোথায় গৃহদেবতা বোঙ্গা;

                 কোথায় দোসাদ দেবতার চন্দ্রগ্রহণ?

এখনো দমির গতরে লাগেনি মৈত্রিমঙ্গল 

তবুও বিশ্বাসের বিস্ময়েই জুমপাহাড়ের ঊরুতে বেজে যাচ্ছে পার্বণবাদ্য।

যুগ-যুগের আদিপথ থেকেই নৃ-মৃত্ত্বিকাসিক্ত মুণ্ডামনের কীর্তন-

                                   কখনোই 

ঢুকতে পারেনি; সকালের কুসুমকুসুম আলোনগরের স্বপ্নসঙ্গমে।

যেম্মায় নৃ-তাত্ত্বিক শরণার্থীর আগমন, তখনই আমতা আমতা স্বীকারঠাট্টা।

ঠাট্টার মাট্টা দেখে-মু-ামনের সাদাসিধা চিৎকার যেম্মায় থেমে যায়-

                                         ছিদাকলার  উন্মুক্ত আঙিনায়।

মন্তব্য: