মিথ্যার হাত
(ধন্যবাদ ম্যাক্স ব্রড, জয়তু ফ্রানৎস কাফকা স্মরণে)
অস্তিত্বের চারপাশে জুড়ে থাকে নিজস্ব খননকৃত কল্পিত পরিখার খাদ
সুড়ঙ্গের জানালা আছে, তবুও আপাত কোন সরলপথ নেই পেরিয়ে
যাওয়ার, জানি না আত্মকেন্দ্রিক আপেক্ষিকতার শেষ কোথায়?
কুহকের কোটরে দিগভ্রান্ত হওয়ার মহড়া দিতে দিতে বিবর্ণ হতে
থাকি আমি এবঙ আমরা। অতীন্দ্রিয় স্বপ্নচারিতার কবলে পড়ে থাকা
সংযমের মুখোশই অসংযমী করে দ্যায় ব্রাত্যপ্রলাপ, মনের ভিতর
ঝড় ওঠে,ওলোটপালোটের হাত ধরে লোপাট হতে থাকে মত ও পথ;
মিথ্যার মরীচিকায় মুখোমুখি অঙ্কুরিত অন্বিষ্টের জিজ্ঞিসা নিয়ে, ড্রয়িং
রুমের গ্রন্থিক ভাঁড়রামো বিপথগামী ‘কুকুরীয় সভ্যতার’ আবর্জনা ঘেঁটে
মরুর বুকে স্বর্গ ও ঈশ্বর বিষয়ক বিমূর্ত ধারণা আয়ুর সারমেয় চিত্রকল্প
নিয়ে ঠিকে থাকে দুর্গের বাহিরে ফ্রানৎস কাফকার সম্ভার। বিস্ময় বোধের
মোমে পোড়া আলোই জন্মকাহনের সাথে শেখে স্ব-বিরোধ- ঈশ্বর খুঁজে
বেড়ানোর বিড়ালের মাতলামি কিঙবা সম্পর্কের মমির মধ্যে কীটেরা ডানা
মেলে ওড়ে; তীর্থযাত্রার মতো লোকাতীত নিনাদ নীরবে নীলিমায় মিলিয়ে
যায়, শুধু নীলরস গোপন আবরণ খুলে দ্যায় মৃত দৃঢ়তার কাছে, নৈঃশব্দ্য ও
নির্জনতা নিয়ে আসে ব্যক্তিক অহমের একাঙ্কিক রিহার্সেল এবঙ গ্রীনরুম…