পরিতোষ হালদার এর কবিতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

নদী ও হারিয়ে যাওয়া গল্প

একদা নদী মরে গিয়ে জন্ম নিতো অজ¯্র কবুতর। তারা বৃক্ষের ডাকবাক্সে চিঠি এনে দিতো। এখন রোজ টেলিফোনে কথা হয় তোমার সাথে- তাপমাত্রা ও পাখির মাংশের স্বাদুতা নিয়ে। যদিও তোমার অবস্থান এবং রান্নাঘর বিষয়ক কোন তথ্যই আমি জানিনা।

ঠিকানা পেলে একদিন ট্রেন চালিয়ে চলে যাব তোমার বাড়ি।

শুনেছি অন্ধকার ভালোবাস তাই জোনাকীরাও তোমার শরীরে বাসা বাঁধে। দশ আঙুল না কী ফড়িংপাখি, কেবর উড়াল দিতে চায়।

সব পথই হারাতে জানে ; শুধু তুমি হারালেনা।

এসো, ঝরা পাতার কাছে বসন্তের প্রার্থনা করি; নদীর কাছে নতজানু হই।

এসো, শিশুদের সাথে আরও একবার বড় হয়ে উঠি।

জোড়া অন্ধকার

কোন কোন রাতও ঘুমিয়ে থাকে। কুমারীর চুলখোলা মেঘ গায়ে তার রেখে যায় শিশিরের ঝাঁঝ। বিছানায় শাদা ফুল- অজস্র জন্মের কণা উড়ে যায়, উড়ে যায়। শিকারী পাখির ঠোঁটে উষ্ণরেখা- ক্লন্তিময় বৃক্ষবৃক্ষ বাস। গহনের সিঁড়ি পথে মলিন ধুসর, কতোটুকু ছিলো তার ডানার উড়ালে। রূপের পালিশে টুকরো টুকরো হীম- লক্ষ্যভেদী সরল শৈশব। ঘড়ির কাঁটায় জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস, ঘুরে আসে সমগ্র সময়। তবুও রাত্রি ঘুমিয়ে থাকে, তবুও নির্জন শেষে রয়ে যায় শব্দের প্রথম অনু। অভিমানী হাতের রেখা, কোনদিন বেঁকে যাবে সমুদ্রের দিকে। জলেশ্বরী- একবার তৃষ্ণা দাও; আমিও রাত্রি হবো, তোমার চোখে মতো জোড়া অন্ধকার।

মন্তব্য: