মেঘ অদিতি
প্রবলভাবে জারিত হবার সময় শূন্যতায় হাহাকার করে চারপাশ। যেন মাড়িয়ে যাওয়া শুকনো পাতা আমি। তীব্রতা যত ছড়িয়ে পড়ে ক্রমে বিপন্নতায় গুমরে উঠি। গোঙানিতে ধুলো মিশে যায়। চাপা অন্ধকারের দেওয়াল দুহাতে সরাতে সরাতে হঠাৎ অন্ধ হয়ে যাই। চারপাশে তখন ঝাঁ ঝাঁ স্তব্ধতা। কানের পর্দা ঝিলি সেই স্তব্ধতার তোড়ে দুমড়ে যেতে চায়। সব ভুলে যেতে তখন অতীতচারী হই। ফিরে যাই দশ বছর আগের এক বর্ষার রাতে। দেখি সে রাতও প্রবল ছিল ঝোড়ো নিঃশ্বাসের উত্তপ্ততায়, গন্ধবাতাস মাদল বাজিয়ে নাচছিল উন্মত্ত আর সে রাতে আমি ভেঙে পড়েছিলাম ইউক্যালিপটাসের মত পাশের দরজায়। কী আশ্চর্য! ঠিক সেই সময়ে কানে ভেসে আসছিল স্তোত্রপাঠ।তারপর বহু সময় কেটেছে। একা আমি সংঘে সংঘে ঘুরি। চলি অন্যমনে। কে জানে কোথা দিয়ে রাত কাটে দিন আসে। খোঁজ রাখি না। তখন কেবলই মুক্তপুরুষ হতে চেয়েছি । চেয়েছিলাম অপ্রাপ্তিবোধে ডুবে না গিয়ে বরং সিদ্ধার্থের বাতলে দেওয়া পথে চলতে। পূঁতিগন্ধময় যাপিত জীবনকে সত্যের বিনিময়ে বদলে নিতে। ধীরে ধীরে আমার নখ বড় হল। চুলে জটা ধরল। তবু নির্বিকার পথ হাঁটছিলাম। সেভাবেই পথ চলতে পারতাম। যদি না আবার তোমার দেখা পেতাম। কেন এসে আবার তুমি সন্ধ্যায় বাড়িফেরা ধনী অন্ধভিক্ষুক হয়ে ফিরে গেলে?