কিষাণ-কিষাণী
কিষাণীর মাটির হাঁড়িতে নতুন চালের নবজাত ভাত
কিষাণের ফিকে লাল বত্রিশ দাঁতের মাঝখানে শুষে নেয়-
কাঁপা কাঁপা ক্ষুধা!
ভাঙা বারান্দার খেঁজুর পাতার মাদুরে দুষ্ট মাছির দল
দিশাহীন, নবজাত ভাতের সুগন্ধে। ছাতিম গাছের ডালে
বসে থাকা ধানশালিক থমথমে
নীরব-
হলুদ দুপুরে রৌদ্রখেলা ভেঙে
ফুল-তােলা ধবধৰে কোলাহলের নকশিকাঁথার উনুনে
কীভাবে সিদ্ধ হয়; কিষাপ-কিষাণীর গার্হস্থ্য জীবন।
ঘর
দেহ ঘুমায়, মন উড়ে নিঃশব্দে মেঘের পিঠে চড়ে
পৃথিবী থেকে পঞ্চান্ন হাজার বর্গ মাইল
মহাশূন্যে মন আমার শান্তির কবিতা লিখে
জলবাষ্প যুগপৎ মহামিলনের মন্ত্র শিখায় জ্যোৎস্নাকে।
রাত্রিকালীন ভ্রমণে মন সর্বক্ষণ দেহ ছাড়া নভােযান-
শব্দের বিপরীতে নিঃশব্দ ঘুমঘুম চোখে
আকর্ণ বিস্তৃত মহাকাশের নতুন ঘর খোঁজে;
যে ঘরে দেহ-মন
দীর্ঘঘুমপ নিদ্রায় যাবে।
মন্তব্য:
মিজানুর রহমান বেলাল
Member since