মায়াছল
গহন অন্ধকার চাই। ঘরভাঙা ঝড়কে বুকে আগলে রাখি। নীল শােকের নৈবেদ্য সাজিয়ে আমি কার প্রণামের অপেক্ষায় রবাে- প্রাণের মাদল বাজেনি বলে কতাে হেমন্ত রঙ হারালাে। উদাস প্রহরে মিনতী হলাে ছল। সেদিন থেকে অন্ধকার গাঙচিল দিগন্তে ওড়ার নামতা ভুলে গেলাে। আমি নীল দরিয়ার সাদা ফেনায় ভেসে ভেসে ক্লান্ত হই। তবুও গােপন পাপের দাগ মুছেনি বলে নিজের অতলান্তে খুঁজি প্রজাপতি বিকেল।
মৃক্তিকার অদৃশ্য ডাক
আমিতাে জ্বলেই আছি। ক্ষরণদীপে বেঁধেছি প্রাণ। ক্ষয়ে যেতে আটপােড়ে বিধি সৃচি করেছি সাতগাঙ ধােয়া মােহন জলে। লালিত দুঃখ রাগ কবেই ঝরে গেছে সপ্তসুর থেকে। বাঁশপাতা মনের বিমুর্ত স্মৃতি রেখাচিত্রের পতন দেখে। কাজলাক্ষীর মায়াছলে অংকিত হবে আরাে একটি সমাধির কালাে ছক। নীল গহনের ওপার আকাশ নিয়ে যেতে যায় মৃত্যুবর্তী অচীন মৃত্তিকায়। জানা নেই তার-আমি যে মরে আছি। মৃত্যুর আগে হয়ে আছি মাটি। জীবনের আগে জল।