বাওয়ালি
এ কলঙ্ক আঁধারের নষ্ট রূপ। আলেক মানুষের খোঁজে অচিন পাখিরে পোষ মানাবে কে! পিতৃধন যে বহতা নদী- তন্ত্রসাধনার সূঁতো ছিঁড়ে সে জীবন বদলাতে চায়! কামনার ভাঁজে যোগী সন্যাসীর গোপন ক্ষয়ে কতো ঋতুবতী মেঘ বৃষ্টি হয়ে ভিজে মাটির সংসার। একজনমের সঞ্চিত কাঠটুকরো দিয়েই তো জ্বলতে হবে বাওয়ালি বন্ধুরে! মৃত্যুর অন্তঃসার শূন্যতায় জীবন হবে কাঁচকুচি শৈশব। একটি সময়ের অপবাদ ঘুচাতে অসময় ডুব দেবে অরণ্যের প্রান্ত রেখায়। সেদিন কুয়াশার সওয়ার হয়ে ঝংকৃত ঝিঝিরা ফিরে পাবেন সুজন জগৎ।
সেই রাত্রি চাই
আমি সেই রাত্রি চাই- যে রাত্রি সব কলমের কালি চুষে তার রহস্য ছড়াবে পাথর অন্ধকারে। রাতজাগা বাদুড়ের চোখে অন্তহীন তৃষ্ণা মেটাবে। চৌরাস্তার ল্যাম্পপোস্টগুলোকে এক নিঃশ্বাসে গিলে খেতে সক্ষম। হিজল গাছে আশ্রিতা জোড়া- কুটুম শতাব্দীর বিচ্ছেদ ভুলে চঞ্চুতে ভরে দেবে আজন্মের জলবিষ। আমি সেই রাত্রি চাই- যে রাতে পরবাসী নদীবউ আরো একবার ভেসে যেতে চায় জল-আগুনের মিলন স্রোতে।